Monday, May 22, 2023

ওয়েদার চেঞ্জের সাথে স্কিন কেয়ার রুটিন কীভাবে মেনটেইন করবেন?

প্রচন্ড গরম কিংবা মেঘলা আকাশ, আবার কখনো ঝুম বৃষ্টি। এখনকার ওয়েদার তো এমনই! দ্রুত ওয়েদার চেঞ্জের সাথে স্কিন কীভাবে এফেক্টেড হচ্ছে, সেটা আমরা কম বেশি সবাই ফিল করছি। এই গরম সহ্য করাই তো দায়, তার উপর স্কিন কেয়ার করা অনেকের কাছেই টাফ মনে হয়! কিন্তু রেগুলার বেসিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনটেইন করা জরুরি। হাইড্রেটেড, হেলদি স্কিন পেতে কে না চায়! তাই বেসিক সেলফ কেয়ার ইগনোর করলে চলবে না। ওয়েদার চেঞ্জের সাথে স্কিন কেয়ার রুটিন কীভাবে মেনটেইন করবেন, চলুন জেনে নেই।

ওয়েদার চেঞ্জের সাথে স্কিন কেয়ারেও আসে পরিবর্তন

প্রকৃতিকে তো আমরা কন্ট্রোল করতে পারবো না, কিন্তু আবহাওয়ার পরিবর্তনে যাতে আমাদের স্কিন ও হেলথে কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে, সেটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। ওয়েদার ডিমান্ড ও স্কিন কন্ডিশন অনুযায়ী স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টে চেঞ্জ আসতে পারে। সেটাই আজ আমরা জানবো।

দিনের শুরুটা হোক রিফ্রেশিং শাওয়ার দিয়ে

এই আবহাওয়াতে সোয়েটিং একটু বেশিই হয়। আবার মাঝে মধ্যে স্কিনটা কেমন যেন ডিহাইড্রেটেডও লাগে। দিনের শুরুটা হোক শাওয়ার দিয়ে আর এক্ষেত্রে আপনি বেছে নিতে পারেন হাইড্রেটিং বা ময়েশ্চারাইজিং শাওয়ার জেল, যা স্কিনকে ড্রাই না করেই প্রোপারলি ক্লিন করবে এবং রিফ্রেশিং ফিল দিবে। গরমে মেনথল সমৃদ্ধ সেলফ কেয়ার প্রোডাক্টও চুজ করতে পারেন যা ইনস্ট্যান্টলি কুলিং ইফেক্ট দেয়। শাওয়ারের পর লাইট বডি লোশন ব্যবহার করতে পারেন। শীতে যেমন আমরা ডিপ ময়েশ্চারাইজিং বডি লোশন ও অলিভ অয়েল প্রিফার করি, গরমে এগুলো অ্যাপ্লাই করলে অস্বস্তি লাগতে পারে।

ওয়েদার চেঞ্জের সাথে স্কিন কেয়ার

মর্নিং স্কিনকেয়ার ইগনোর করবেন না

সকালে যতই ব্যস্ততা থাকুক, বেসিক স্কিন কেয়ার মিস করা যাবে না। প্রথমে স্কিন টাইপ বুঝে মাইল্ড ক্লেনজার দিয়ে ফেইস ক্লিন করে নিন। নেক্সট স্টেপ টোনিং, তারপর ময়েশ্চারাইজিং। বাইরে বের হওয়ার অন্তত ২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করুন।

ফেসিয়াল মিস্ট ক্যারি করুন

ওয়েদার চেঞ্জের ফলে স্কিন ডাল বা রাফ হয়ে যেতে পারে। দেখা যায় যে তাপমাত্রার পরিবর্তনে স্কিন হুট করেই বেশ ড্রাই ও ডিহাইড্রেটেড হয়ে যাচ্ছে। সেজন্য হাতের কাছে হাইড্রেটিং ফেসিয়াল মিস্ট রাখুন। রোজ ওয়াটার স্প্রে দিয়েও এই কাজটি চালিয়ে নিতে পারেন। বিশেষ করে যারা এসিতে লং টাইম থাকেন, তাদের জন্য ফেসিয়াল মিস্ট বেশ কার্যকরী। সেই সাথে ফেসিয়াল ওয়াইপসও রাখতে পারেন। বাইরে ইনস্ট্যান্ট ক্লেনজিংয়ের জন্য বেশ কাজে দেয় এই প্রোডাক্টটি।

সানস্ক্রিন রিঅ্যাপ্লাই করা মাস্ট

রোদ থাকলে সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করবো, আর মেঘলা দিনে সানস্ক্রিন লাগবে না; এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসুন। ওয়েদার যেমনই হোক ঠান্ডা, ভ্যাপসা গরম বা মেঘলা; দিনের বেলা সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করুন এবং ২/৩ ঘন্টা পর পর রিঅ্যাপ্লাই করুন। অনেকের ধারণা সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করলে ত্বক আরও ঘামবে, গ্রিজি লাগবে। এটি ভুল ধারণা! স্কিন টাইপ বুঝে আপনার ত্বকের জন্য মানানসই ফর্মুলার সঠিক SPF যুক্ত সানস্ক্রিন চুজ করুন। অয়েলি স্কিনের জন্য নন গ্রিজি, জেল বেইজড ও নন কমেডোজেনিক সানস্ক্রিন সিলেক্ট করলে সোয়েটিং বা অন্য কোনো সমস্যা হবে না। বরং সানস্ক্রিন স্কিপ করলে সানট্যান, প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস, স্পটস এই ধরনের বিভিন্ন স্কিন কনসার্ন দেখা দেয়। তাই, সানস্ক্রিন যেন হয় আপনার হলিগ্রেইল স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট।

সানস্ক্রিন রিঅ্যাপ্লাই

কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর বেছে নিন

প্রাকৃতিক নিয়মেই আমাদের স্কিনে ডেড সেলস পাইল আপ হতে থাকে এবং নিউ সেলস রিজেনারেট হয়। বয়স কম থাকলে ন্যাচারালি এক্সফোলিয়েশন হয়ে যায়, কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্কিনের এই ন্যাচারাল এক্সফোলিয়েশন প্রসেস স্লো হয়ে যায়। তখনই আমাদের এক্সফোলিয়েট করতে হয়। এক্ষেত্রে মাইল্ড কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর সাজেস্ট করবো। যাদের স্কিন অয়েলি ও একনে প্রন, তারা উইকে ২ বার স্যালিসাইলিক আসিড বেইজড এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করুন।

 

সাপ্তাহিক স্কিনকেয়ারে ফেইস মাস্ক ইনক্লুড করুন

এই ওয়েদারে অয়েলি স্কিনের জন্য ক্লে ও চারকোল বেইজড ফেইস মাস্ক খুবই কার্যকরী। এর বেনিফিট হলো- স্কিনে জমে থাকা এক্সট্রা অয়েল কমানোর পাশাপাশি ইনফ্ল্যামেশন দূর করে, একনে প্রিভেন্ট করে। আর স্কিন যদি ড্রাই মনে হয় তাহলে ওটমিল, টকদই ও রোজ ওয়াটার মিক্স করে ফেইস মাস্ক বানিয়ে ফেইস ও নেইকে অ্যাপ্লাই করে নিন। স্কিন যদি ডিহাইড্রেটেড লাগে, তাহলে শসার রস, অ্যালোভেরা জেল ও চন্দন গুঁড়ো দিয়ে ফেইস মাস্ক বানিয়ে ব্যবহার করুন। ডিহাইড্রেটেড স্কিনের জন্য শিট মাস্কও বেশ ভালো অপশন।

সুদিং জেল ইনক্লুড করুন সেলফ কেয়ারে

গরমে বাইরে থেকে এসে ঠান্ডা ঠান্ডা সুদিং জেল দিয়ে যদি ফেইস ম্যাসাজ করা হয়, তাহলে বেশ ভালোই লাগবে! এতে আপনার স্কিনের রেডনেস, সানবার্ন অনেকটাই কমে যাবে। এটি স্কিনে কুলিং ও সুদিং ইফেক্ট দিবে। অ্যালোভেরা, টমেটো, স্লেইল- যেকোনো সুদিং জেলই ব্যবহার করতে পারেন। অবশ্যই ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করুন এবং ফেইসে অ্যাপ্লাই করে কয়েক সেকেন্ড ম্যাসাজ করে নিন।

ওয়েদার বুঝে স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টস সিলেক্ট করুন

ওয়েদার বুঝে স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টস সিলেক্ট করুন

অনেক সময় আমরা একটি প্রোডাক্ট কিনে সেটা সারা বছর ইউজ করতে চাই। কিন্তু আবহাওয়া, স্কিন কন্ডিশন এগুলো বুঝে প্রোডাক্ট সিলেক্ট করা উচিত। শীতে আমাদের ত্বক অনেক বেশি ড্রাই হয়ে যায়, তাই অনেকেই অয়েল বেইজড প্রোডাক্ট ও থিক ময়েশ্চারাইজার ইউজ করেন এই সময়ে। এখন সেই একই প্রোডাক্ট যদি সামার সিজনে অ্যাপ্লাই করেন তাহলে কি সেটা স্যুট করবে? না! উল্টো আপনার স্কিনে বাম্পস দেখা দিবে। সামারে জেল বা ওয়াটার বেইজড লাইট ফর্মুলার প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন, যেটা ত্বকে ইজিলি অ্যাবজর্ব হয়ে যাবে। হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যুক্ত স্কিনকেয়ার রেঞ্জ স্কিনে ওয়াটার রিটেইনে হেল্প করে। তাই স্কিনের ওয়াটার লেভেল ব্যালেন্স করতে এই ইনগ্রেডিয়েন্টটি সাজেস্ট করা হয়।

ডায়েটে আনুন পরিবর্তন

স্কিন কেয়ার রুটিন তখন-ই ফুললি ইফেক্টিভ হয় যখন ডায়েট চার্টও ঠিকঠাক থাকে। ওয়েদার চেঞ্জের সাথে স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টে যেমন চেঞ্জ আনতে হয়, তেমনি হেলথ এর দিকেও নজর দিতে হবে। গরমে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। ফ্রেশ ফ্রুট জুস, ডাবের পানি, সবজি, কম তেল মসলার খাবার রাখুন ডায়েটে। ভাজাপোড়া, জাংকফুড, সফট ড্রিংকস এড়িয়ে চলুন।

ওয়েদার চেঞ্জের সাথে স্কিন কেয়ার রুটিন কীভাবে মেনটেইন করবেন, সে সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পেলেন আশা করি। স্কিন কেয়ারের পাশাপাশি হেলদি লাইফস্টাইলেও ফোকাস দিতে হবে। আজ এই পর্যন্তই। অথেনটিক স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট কিনতে পারেন সাজগোজ থেকে। সাজগোজের কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ন মল্লিকা, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে ও চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টারে অবস্থিত। এই শপগুলোতে ঘুরে নিজের পছন্দমতো অথবা অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকেও কিনতে পারেন আপনার দরকারি প্রোডাক্টগুলো।

 

ছবি- সাজগোজ

The post ওয়েদার চেঞ্জের সাথে স্কিন কেয়ার রুটিন কীভাবে মেনটেইন করবেন? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/zmhPaTQ
Previous Post
Next Post

0 comments: