Thursday, April 25, 2024

বো পনিটেইল হেয়ার স্টাইল

ট্রাই করুন ডিফারেন্ট পনিটেইল হেয়ার স্টাইল, যা আপনার লুককে করবে আরও গর্জিয়াস। চলুন দেখে নেই ট্রেন্ডি বো পনিটেইল হেয়ার স্টাইলের টিউটোরিয়াল।

আরও প্রোডাক্ট কিনতে ক্লিক করুন- shop.shajgoj.com

The post বো পনিটেইল হেয়ার স্টাইল appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/ys35hIw
Continue reading

Wednesday, April 24, 2024

বয়সের ছাপ কমিয়ে ত্বকের তারুণ্য দীর্ঘদিন ধরে রাখতে ৮টি অভ্যাস

বয়সের ছাপ কমিয়ে ত্বকের তারুণ্য দীর্ঘদিন ধরে রাখতে ৮টি অভ্যাস

সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বাড়তে থাকে আমাদের বয়স। চাইলেই যেমন সময়কে আটকে ফেলা যায় না, তেমনি বয়সকেও বেঁধে রাখা যায় না, দু’টোই ক্রমাগত বাড়তে থাকে। সুন্দর ও মসৃণ ত্বক সবারই কাম্য। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সবাইই চায়। কিন্তু প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে বয়স তো বাড়বেই, তাই ত্বকেও বয়সের ছাপ পড়তে থাকবে। বয়সের ছাপ পড়া পুরোপুরি বন্ধ করা না গেলেও চাইলেই এটিকে স্লো ডাউন করে ফেলা সম্ভব। ভাবছেন কীভাবে? কিছু অভ্যাস আছে যা প্রতিদিন মেনে চলার মাধ্যমে খুব সহজেই যেমন ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখা সম্ভব, তেমনি শারীরিক সুস্থতাও বজায় রাখা সম্ভব। আজকের ফিচার প্রতিদিনকার সেই অভ্যাসগুলো সম্পর্কে যা মেনে চললে সহজেই ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখা সম্ভব হবে।

ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার ৮টি অভ্যাস

অনেকেই মনে করেন, বয়সের ছাপ দূর করতে শুধুমাত্র কিছু প্রোডাক্টই পারে। আসলে বিষয়টি সেরকম নয়। ত্বকের যত্ন নেওয়া অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, এর পাশাপাশি কিছু অভ্যাস তৈরি করাও জরুরি । চলুন জেনে নেওয়া যাক সে অভ্যাসগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।

ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কী করবেন?

১. বিশুদ্ধ পানি পান করা

ত্বক ও শরীর সুস্থ-সুন্দর রাখতে পানির বিকল্প কিছুই নেই। তবে পান করার পানি অবশ্যই হতে হবে বিশুদ্ধ। অনেকেরই একটি ভুল ধারণা হচ্ছে যত বেশি পানি পান করা যায় ততই নাকি ভালো, কিন্তু এটি মোটেও সঠিক নয়। প্রত্যেকেরই উচিত দেহের চাহিদা অনুযায়ী পরিমিত পানি পান করা। মনে রাখতে হবে, কম পানি পান করা যেমন ত্বক ও শরীর উভয়ের জন্য খারাপ, তেমনি অতিরিক্ত পানি পান করাও স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। চেষ্টা করুন প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করার। পানি ত্বকের হাইড্রেশন ধরে রাখে এবং খাদ্য হজমে সাহায্য করে। যখন দেহে পানির ঘাটতি না থাকে, তখন ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়তে পারেনা।

২. প্রতিদিন অন্তত একটি হলেও ফল খাওয়া

আমরা সবাই জানি, ফলমূলে থাকা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও নিউট্রিয়েন্ট আমাদের শরীরের জন্য কতটা জরুরি। বিভিন্ন ধরনের ফল ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি করে ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই অন্ততপক্ষে একটি হলেও ফল প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। যেকোনো ধরনের ফলই আপনি খেতে পারেন, মৌসুমি ফল থেকে শুরু করে কলা, সফেদা, পেঁপে ইত্যাদি। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে ফল খাওয়ার অভ্যাস শুরু করুন, কিছুদিন পর পার্থক্য নিজেই বুঝতে পারবেন।

ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে প্রতিদিন শাকসবজি খান

৩. প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় শাকসবজি রাখা

শাকসবজি যে আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলে শেষ করা যাবেনা। এতে আছে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, উদ্ভিজ্জ প্রোটিন ইত্যাদি। প্রতিদিন তাই বেশি বেশি শাক সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রতিদিন শাক সবজি খেলে শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি ধীরে ধীরে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক আগের চাইতে তরুণ দেখাতে শুরু করে।  তাই বেশি বেশি সবজি গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৪.  চিনিযুক্ত ও কার্বোনেটেড সফট ড্রিংকস এড়িয়ে চলা

অতিরিক্ত চিনিযুক্ত জুস, যেমনঃ ফলের জুস বা কার্বোনেটেড সফট ড্রিংকস ত্বক ও শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার ত্বকের কোলাজেন ভেংগে ফেলে।  এর বদলে বাসায় তৈরি অল্প চিনিযুক্ত মিল্কশেক, কফি, আইসড টি, ইয়োগার্ট শেক খেতে পারেন।

বাড়িতে বানানো খাবার খান

৫. বাইরের অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলা

বাইরের খাবার একে তো হাইজেনিক নয়, তার উপর এসব প্রসেসড খাবারে থাকে অতিরিক্ত মশলা, লবন, চিনি, তেল ইত্যাদি। বাইরের খাবার খাওয়ার অতিরিক্ত প্রবণতা একদিকে যেমন ওজন বাড়ায়, অপরদিকে অ্যাসিডিটি তৈরি করে এবং ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে নষ্ট করে ফেলে। তাই বাহিরের খাবার গ্রহণের অভ্যাস ধীরে ধীরে কমিয়ে ফেলুন। একই সাথে ভাজাপোড়া খাবার ও প্যাকেটজাত খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমিয়ে আনুন। সবসময় বাড়িতে বানানো খাবার খান। চেষ্টা করুন ব্যালেন্সড ডায়েট মেনটেইন করার।

৬. প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে বাদাম খাওয়া

চেষ্টা করুন প্রতিদিন যেকোনো ধরনের বাদাম খাওয়ার। একমুঠো চিনা বাদাম অথবা কয়েকটি কাঠবাদাম, কাজুবাদাম ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। বাদামে থাকে ভিটামিন ই, অ্যাসেনশিয়াল ফ্যাট ও অয়েল। বাদাম ত্বক মসৃণ করে এবং ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে, যাতে করে ত্বকের তারুণ্য দীর্ঘদিন ধরে রাখা সম্ভব হয়। তাই বাদাম বা বাদামজাতীয় খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৭. লাইফ থেকে স্ট্রেস দূর করা

মানুষের জীবনে স্ট্রেস, জটিলতা, টেনশন থাকবে আর এটাই স্বাভাবিক। চেষ্টা করুন স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমিয়ে হ্যাপি থাকতে। যে মানুষগুলো আপনার জীবনে স্ট্রেস বাড়ায় এবং টক্সিসিটি তৈরি করে, সে মানুষগুলোকে এড়িয়ে চলুন। একটি বিষয় মাথায় রাখবেন, অতিরিক্ত টেনশন বা মানসিক চাপ ত্বককে অকালে বুড়িয়ে ফেলে। তাই হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন এবং জীবনকে ভালোবাসুন। মানসিক শান্তি বজায় থাকলে ত্বকও সুন্দর থাকবে।

অযথা রাত জাগার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন

৮. অতিরিক্ত রাত জাগার অভ্যাস থাকলে ধীরে ধীরে কমিয়ে ফেলা

ঘুম শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ঘুমের মাধ্যমে আমাদের শরীর পুনরায় কর্মক্ষম হয়। আমাদের ত্বকের কোষ পুনর্গঠন ছাড়াও অন্যান্য ত্বকের সমস্যাও ঘুমানোর মাধ্যমে ধীরে ধীরে দূর হতে পারে। প্রত্যেকের জন্য ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো খুবই প্রয়োজন। অতিরিক্ত রাত জাগা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। চোখের চারপাশে কালো দাগ, চোখ গর্তে চলে যাওয়া, ত্বকের মলিনতা এ সব কিছুই হয়ে থাকে রাত জেগে থাকার কারণে। তাই ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে রাতে অতিরিক্ত জেগে থাকা কমিয়ে ফেলুন এবং দ্রুত ঘুমানোর অভ্যাস তৈরি করুন।

এই অভ্যাসগুলো কিছুদিন মেনে চললেই যে ত্বকে আহামরি পরিবর্তন দেখতে পাবেন, তা কিন্তু নয়, বরং ধৈর্য ধরে আপনাকে অভ্যাসগুলো মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি অবশ্যই বেসিক স্কিন কেয়ার জরুরি। স্কিন কেয়ারের বেসিক রুলস গুলো মেনে চলতে হবে। নিয়মিত এস পি এস যুক্ত সানস্ক্রিন ডে টাইমে অ্যাপ্লাই ও রিঅ্যাপ্লাই করতে হবে। তাহলেই আপনারা ত্বকের তারুণ্য দীর্ঘদিন ধরে রাখতে পারবেন।

ছবিঃ সাটারস্টক, সাজগোজ

 

The post বয়সের ছাপ কমিয়ে ত্বকের তারুণ্য দীর্ঘদিন ধরে রাখতে ৮টি অভ্যাস appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/qC2ySOJ
Continue reading

Monday, April 22, 2024

উচ্চতা ভীতি বা অ্যাক্রোফোবিয়া! এই অযৌক্তিক ভয় কীভাবে কাটাবেন?

উচ্চতা ভীতি বা অ্যাক্রোফোবিয়া! এই অযৌক্তিক ভয় কীভাবে কাটাবেন?

নির্দিষ্ট বস্তু, বিষয় বা পরিস্থিতিতে একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত ভয় গ্রহণযোগ্য। কিন্তু এই ভয়ের অনুভূতি যদি স্বাভাবিকতার সীমা অতিক্রম করে তখন তা একটি রোগ। একে বলে ফোবিয়া / ফোবিক ডিজঅর্ডার বা অহেতুক ভীতি রোগ। যেকোনো কিছুতেই অতিরিক্ত ভীতি থাকতে পারে, আর তা যদি হয় উচ্চতা নিয়ে; তবে তাকে বলে অ্যাক্রোফোবিয়া (Acrophobia)। বহুতল ভবনের ব্যালকনি, ছাদে ওঠা, এমনকি লিফটেও উচ্চতাজনিত ভয়ের কারণে অনেকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পরে থাকেন। আপনারও কি এই প্রবলেমটি আছে? চলুন আজ তাহলে এই সমস্যাটি নিয়ে কিছু তথ্য জানা যাক।

উচ্চতা ভীতি বা অ্যাক্রোফোবিয়া কী?

অ্যাক্রোফোবিয়া এমন এক মানসিক রোগ যেখানে ব্যক্তি উচ্চতা সম্পর্কে তীব্র ভয় অনুভব করে। এটি এক ধরনের অ্যানজাইটি ডিজঅর্ডার। অ্যাক্রোফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি যখন উঁচু স্থানের কথা ভাবেন বা উঁচু স্থানে অবস্থান করেন তখন তীব্র ভয় এবং উদ্বেগ অনুভব করেন। তাই বেশিরভাগ সময় তারা উঁচু স্থান এড়িয়ে চলেন। উচ্চতা নিয়ে ভীত থাকা একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত স্বাভাবিক, তবে অ্যাক্রোফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যাক্তি সামান্য উচ্চতায় গেলেও অতিরিক্ত ভীত ও সতর্ক থাকেন, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে।

উচ্চতা ভীতি বা অ্যাক্রোফোবিয়া এর কারণ

উঁচু জায়গা থেকে নিচে তাকালে অনেকেরই একটু আধটু ভয় হতে পারে। তবে অনেকের এই ভীতি প্রকট আকার ধারণ করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলে। উচ্চতা ভীতি বা অ্যাক্রোফোবিয়া, এই ভীতির নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই আসলে, এটি একটি মানসিক বিষয়। চলুন গবেষকরা কী বলছেন, জেনে নেওয়া যাক।

১) বিবর্তনের ধারা

অনেকেই ধারণা করে থাকেন যে উচ্চতা ভীতি মানব সভ্যতা বিবর্তনের সাথে সাথে চলে এসেছে। ধারণা করা হয়ে থাকে, আদিকালে যেসব মানুষ উচ্চতা নিয়ে সতর্ক থাকতেন এবং ঝুঁকিপূর্ণ উচ্চতা এড়িয়ে চলতেন, তারা ভালোভাবে সে সময় সার্ভাইভ করতে পেরেছে। সেই থেকে মানুষের মনে উচ্চতা ভীতির ধাঁচ কিছুটা থেকে গেছে, অনেক বিশেষজ্ঞরা এই মতামত দিয়েছেন।

২) পূর্বঘটিত কোনো ট্রমা

উচ্চতা নিয়ে কোনো ট্রমা বা খারাপ স্মৃতি থেকেও উচ্চতা ভীতি কাজ করতে পারে। যেমন, উঁচু কোন জায়গা থেকে পড়ে বড় ধরনের আঘাত পাওয়া, বা উচ্চতাজনিত অপঘাতের সাক্ষী হওয়া ইত্যাদির ফলে উচ্চতার সাথে সাথে বিপদের অনুভূতি মনে প্রভাব ফেলে।

৩) জিনগত কারণ

অনেক সময় পরিবারে কারো উচ্চতা ভীতি থাকলে তা বংশগতভাবেও কারো কারো ভেতরে দেখা দিতে পারে। ছোট শিশুদের অনেক সময় এই হাইট ফেয়ার থাকে, যা বড় হওয়ার সাথে অনেকক্ষেত্রে কমে যায়।

লক্ষণসমূহ

উঁচু মই বেয়ে উপরে ওঠা, সেতু বা ব্রিজ পার হওয়া, লিফটে বহুতল ভবনে ওঠা, উঁচু বিন্ডিং এর উপর থেকে নিচে তাকানো- এই সময়ে কিছু লক্ষণ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার উচ্চতা ভীতি বা অ্যাক্রোফোবিয়া আছে কিনা!

শারীরিক লক্ষণঃ- দ্রুত হৃদস্পন্দন, অতিরিক্ত ঘাম, কাঁপুনি হওয়া, মাথা ঘোরা, নিঃশ্বাসের দুর্বলতা, বমি বমি ভাব বা পেটে অস্বস্তি।

মানসিক লক্ষণঃ- তীব্র উদ্বেগ বা প্যানিক অ্যাটাক, উঁচু জায়গা থেকে পড়ে যাওয়ার অতিরিক্ত ভয়, উঁচু জায়গা থেকে দ্রুত সরে যাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা ইত্যাদি।

আচরণগত লক্ষণঃ- উঁচু স্থান এড়িয়ে চলার জন্য অনেক লম্বা দূরত্ব পারি দেওয়া, উঁচু জায়গায় কাজ করতে অস্বস্তিবোধ করা ইত্যাদি।

এই ভীতি মোকাবেলার কৌশল

১) ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হওয়া-

নিরাপদ পরিবেশে উঁচু স্থানের সাথে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হওয়ার প্র্যাকটিস করতে হবে। এভাবে একটি নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ভয়কে জয় করা যায়। কম ভীতিজনক উচ্চতা থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে আরো চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।

২) বিহেভিওরাল থেরাপি-

এটি সাইকোথেরাপির এমন এক রূপ যার মাধ্যমে উচ্চতা বা ভীতি নিয়ে নেগেটিভ চিন্তাগুলো সনাক্ত করতে এবং তা পরিবর্তন করতে সাহায্য করে। এর সাহায্যে ভয়কে মোকাবেলা করার নতুন পদ্ধতি জানা যায় এবং ভীতি সম্পর্কে অযৌক্তিক ধারণা পরিবর্তন হয়।

২) রিল্যাক্সেশন টেকনিক-  

শরীর ও মনকে রিল্যাক্স করতে হবে। গভীর শ্বাস নেওয়া, পেশী শিথিলকরণ, মেডিটেশন ইত্যাদি কার্যকর পদ্ধতি। যেকোনো ধরনের ভয়ের পরিস্থিতি মোকাবেলায় এই কৌশলগুলো খুবই কার্যকর।

৩) উচ্চতা ভীতি বা অ্যাক্রোফোবিয়া কাটাতে মেডিকেশন-

ভীতি যদি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে দৈনন্দিন কার্যকলাপ ব্যাহত হয় তা হলে সে ক্ষেত্রে কিছু ঔষধ ব্যবহার করা যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে পারেন।

উচ্চতা ভীতি বা অ্যাক্রোফোবিয়া সহ যেকোনো বিষয়ে অযৌক্তিক ভয় যেকোনো মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এই সমস্যায় ভুক্তভোগী হলে যে কখনোই আপনি উঁচু জায়গায় স্বাভাবিকভাবে যেতে পারবেন না, এই ধারণা কিন্তু সঠিক নয়। এই ফোবিয়া কাটাতে প্রয়োজনে মনোবিজ্ঞানী, মনরোগ বিশেষজ্ঞ বা প্রশিক্ষিত থেরাপিস্ট এর সহায়তা ও নির্দেশনা গ্রহণ করা যেতে পারে।

ছবি- সাটারস্টক

The post উচ্চতা ভীতি বা অ্যাক্রোফোবিয়া! এই অযৌক্তিক ভয় কীভাবে কাটাবেন? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/7mrxCna
Continue reading

জিরা পানির ১৫ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা যা জানলে চমকে যাবেন!

জিরা পানির ১৫ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা যা জানলে চমকে যাবেন!

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আমরা বিভিন্ন রকম খাবার ও পানীয় সম্পর্কে জানতে পারি, যেগুলো শরীরকে ডিটক্সিফাই করে, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে, আবার ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এগুলোর মধ্যে সব খাবার সঠিকভাবে কাজ না করলেও একটি পানীয় কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী, সেটি হলো জিরা পানি। আজকের ফিচারে আমরা জিরা পানির উপকারিতা সম্পর্কে জানবো।

জাদুকরী পানীয় জিরা পানি

প্রতিদিনের রান্নায় কম-বেশি সবাই জিরা ব্যবহার করে থাকেন। সেই প্রাচীনকাল থেকেই জিরা আমাদের এই উপমহাদেশের রান্নাঘরে মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই বিস্ময়কর মসলার উপকারিতা পাওয়ার সহজতম উপায় হলো জিরা পানি পান করা।  এই জিরা পানির উপকারিতার তালিকা কিন্তু বেশ বড়। প্রাচীন আয়ুর্বেদিক গ্রন্থগুলিতে এই পানীয় সম্পর্কে নথিভুক্ত আছে, যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আধুনিক বিজ্ঞান দ্বারা যাচাই করা হয়েছে।

জিরা পানির উপকারিতা

কীভাবে জিরা পানি তৈরি করতে পারেন?

জিরা পানি তৈরি করা কিন্তু বেশ সহজ। আপনাকে সারা রাতভর এক মুঠো জিরা এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। বেশি সময় ধরে ভিজিয়ে রাখার ফলে জিরার বীজগুলো ফুলে উঠে এবং পানিতে বায়ো অ্যাকটিভ কম্পাউন্ড তৈরি করে। এই মিশ্রণটি প্রতিদিন সকালে পান করলে, অল্প সময়ের ভেতরেই স্বাস্থ্যের ইতিবাচক উন্নতি নজরে আসে।

জিরা পানির উপকারিতা জানুন

জিরা পানি কেন ডিটক্স (detox drink) পানীয় হিসেবে সেরা, আসুন কারণগুলো জেনে নেই।

১) কম ক্যালরি

এক চা চামচ জিরার বীজে মাত্র সাত ক্যালরি থাকে! যা অন্যান্য পানীয়ের তুলনায় খুবই কম। তাই কম ক্যালরির এই পানীয় পান করলে ওজন বাড়ার কোনো চিন্তাই নেই।

২) অ্যান্টি অক্সিডেন্টস সমৃদ্ধ

জিরার বীজে রয়েছে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা ওজন কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও এটি শরীরের অভ্যন্তরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিরোধ করে। জিরা পানি নিয়মিত পান করলে তা আপনার দেহের সিস্টেম থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলিকে নির্মূল করে শরীরকে ডিটক্সিফাই করে।

৩) হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়

নিয়মিত জিরা পানি পান করলে আমাদের পরিপাকতন্ত্র ভালো থাকে। জিরার বীজে থাইমল নামক একটি নির্দিষ্ট যৌগ রয়েছে, যা গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থির নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে। এটি প্রোটিন, ফ্যাট ও চিনির মতো জটিল নিউট্রিয়েন্ট ভেঙ্গে ফেলতে সাহায্য করে এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যা, যেমনঃ বদহজম, ডায়রিয়া ও বমি বমি ভাব দূর করে।

নিয়মিত এক্সারসাইজের বিকল্প নেই

৪) মেটাবলিজম ও ফ্যাট বার্ন বাড়ায়

জিরা পানি শরীরের মেটাবলিজমকে ত্বরান্বিত করে এবং ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে। তাই পেটের চর্বি থেকে মুক্তি পেতে এই ডিটক্স ওয়াটার বেশ উপকারী। তবে শুধু ডিটক্স ওয়াটার পান করলেই হবে না, সেই সাথে প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি জিরা পানি পান করলে মেটাবলিজমের হার বেড়ে যায়, যা দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৫) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

জিরার বীজে বায়ো অ্যাকটিভ যৌগের উপস্থিতির কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। ফাইবারের একটি ভালো উৎস হলো জিরা। জিরা পানি পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে বাধা দেয়। এছাড়াও এটি পাচনতন্ত্র ও মলত্যাগের সিস্টেমে সংক্রমণ বা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।

৬) ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

জিরা পানিতে রয়েছে অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক প্রোপার্টিজ, যা বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এটি মেটাস্ট্যাসিস প্রতিরোধ করে, যাতে করে শরীরের অন্যান্য অংশে ক্যান্সার ছড়ায় না।

জিরা পানি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে

৭) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে

জিরা পানি রক্তে শর্করার মাত্রার আকস্মিক বৃদ্ধি রোধ করে এবং টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

৮) শরীরকে হাইড্রেট করে

জিরা পানি আমাদের শরীরকে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে এবং আমাদের শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতেও সাহায্য করে।

৯) অ্যাসিডিটি উপশম করে

জিরা পানির উপকারিতা হিসেবে একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়। এই পানীয় অ্যাসিডিটি কমাতে ও প্রতিরোধে কার্যকরী। যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে, তারা প্রতিদিন জিরা পানি পান করলে অবস্থার উন্নতি দেখতে পাবেন আশা করি।

১০) রক্তশূন্যতা কমানোতে সহায়ক

জিরার বীজে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। রক্তে হিমোগ্লোবিন গঠনের জন্য আয়রনের প্রয়োজন। পানি পান করলে তা রক্তস্বল্পতার উপসর্গ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। সেই সাথে এটি আমাদের শরীরে অক্সিজেন পরিবহণের জন্য আরো প্রয়োজনীয়।

১১) হার্টের জন্য ভালো

জিরার পানি আমাদের শরীরে রক্তচাপ, ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি আমাদের হৃদপিণ্ডকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।

জিরা পানি ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে

১২) ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে

সুন্দর ত্বক পেতে কে না চান? ত্বকের ধরন যেটাই হোক, জিরা পানির উপকারিতা কিন্তু সব ত্বকেই পাওয়া যায়। জিরার পানিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রোপার্টিজ রয়েছে। এই উপাদানগুলো আমাদের শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। তাই স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য নিয়মিত জিরা পানি পান করা ভালো। এটি ব্রণ প্রতিরোধ করে এবং ত্বককে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

১৩) চুল ঘন করতে সাহায্য করে

জিরার পানি আমাদের চুলের জন্যও ভালো। এটি আমাদের চুলকে মজবুত করে এবং চুল পড়া রোধ করে। এর পাশাপাশি এটি খুশকি এবং অকালে চুল পাকা রোধ করে।

১৪) মাসিক চক্র নিয়মিত করতে সাহায্য করে

অনিয়মিত মাসিক চক্র নারীদের একটি পরিচিত স্বাস্থ্য সমস্যা। এই ধরনের সমস্যার জন্য জিরা পানি পান করা বেশ উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। কারণ এটি জরায়ুকে সংকোচন করতে উদ্দীপিত করে, যা পিরিয়ড নিয়মিত করতে সাহায্য করে। জিরা পানি পান করলে মাসিকের ক্র্যাম্প উপশম হয়।

১৫) প্রসূতি মায়েদের বুকের দুধ বাড়াতে সাহায্য করে

জিরা আয়রনে সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মহিলাদের খাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর। এটি দুধ উৎপাদনে সহায়তা করে এবং নিশ্চিত করে যে শিশুটি সমস্ত সঠিক পুষ্টি পায়।

জিরা পানির উপকারিতা পেতে কখন পান করবেন?

জিরা পানি পান করার সেরা সময়

ঘুম থেকে উঠার পর দিনের শুরুতে জিরা পানি পান করা সবচেয়ে ভালো। সকালে খালি পেটে জিরা পানি পানের উপকারিতাগুলোর মধ্যে রয়েছে হজমে সহায়তা করা, ফোলাভাব কমানো এবং ওজন কমানো। এই পানীয়টি সারাদিনের যেকোনো সময় পান করা যেতে পারে, তবে দিনের প্রথম দিকে পান করা হলে এটির সর্বাধিক উপকারিতা পাওয়া যায়।

এটুকুই ছিলো জিরা পানির উপকারিতা নিয়ে আজকের আলোচনা। পরিশেষে বলা যায়, এটি একটি পুষ্টিকর পানীয় যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা নিরাময় করতে পারে। তবে হ্যাঁ, কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়, জিরা পানির ক্ষেত্রেও এ কথাটি মনে রাখবেন। এই পানীয় পান করার পর যদি আপনি অস্বস্তি বোধ করেন, তবে এটি পান করা থেকে বিরত থাকুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ছবিঃ সাটারস্টক, সাজগোজ

The post জিরা পানির ১৫ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা যা জানলে চমকে যাবেন! appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/wJpFN5B
Continue reading

Thursday, April 18, 2024

নতুন চুল গজাতে পেপটাইড কতটুকু কার্যকরী?

নতুন চুল গজাতে পেপটাইড কতটুকু কার্যকরী?

নতুন চুল গজানোর ব্যাপারে আগ্রহ নেই এমন মানুষ খুব কম আছেন। এই ধরুন, কেউ যদি বলে অমুক পাহাড়ের উপর একটি ভেষজ গাছ আছে যেটার পাতা খেলে চুল গজায়, তাহলে যে যেভাবে পারুক সেই গাছ হয়তো যোগাড় করেই ছাড়বে! আসলে চুলের ব্যাপারে আমরা বরাবরই সিরিয়াস কিনা। কারণ বর্তমানে চুল পড়া একটি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমরা কেমিক্যাল বা বায়োলজিক্যাল যেভাবেই পারছি তা দিয়েই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাই। এখন ঘন ও হেলদি চুল পেতে গিয়ে কোনো প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে সেটি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া খুবই জরুরি। নতুন চুল গজাতে পেপটাইড এখন বেশ হাইপড একটি ইনগ্রেডিয়েন্ট। এটিকে হেয়ার গ্রোথের ম্যাজিকাল ইনগ্রেডিয়েন্টও বলা হয়। আজকের ফিচারে থাকছে পেপটাইড সম্পর্কে বিস্তারিত।

পেপটাইড সম্পর্কে কিছু তথ্য

পেপটাইড আসলে অ্যামাইনো অ্যাসিডের শর্ট চেইন। এটি যখন বন্ড হিসাবে থাকে, তখন অনেকগুলো অ্যামাইনো অ্যাসিড যুক্ত হয়ে প্রোটিন তৈরি করে। আমাদের হেয়ার ও স্কিনের জন্য প্রোটিন যে কতটা জরুরি যেটা বলার অপেক্ষা নিশ্চয়ই রাখে নাহ্। বিশেষ করে আমাদের চুল কেরাটিন নামক প্রোটিন দিয়ে তৈরি দিয়ে তৈরি বলে চুলের যত্নে প্রোটিনের গুরুত্ব একটু বেশি ই বটে। দুধ, ডিম, মাংস এগুলো হচ্ছে পেপটাইডের বেশ ভালো সোর্স।

পেপটাইড চুল ঘন করতে সাহায্য করে

নতুন চুল গজাতে পেপটাইড কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ?

চুল ভালো রাখতে সবার আগে ডায়েটে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। যদি আপনার ডায়েটে পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকে, তাহলে তা চুলের হেলথ ভালো রাখতে কাজ করে। ডায়েটের পাশাপাশি সরাসরি চুলের যত্নে পেপটাইড ইউজ করলে চুলের গ্রোথের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী হয়। চলুন এখন জানা যাক নতুন চুল গজাতে পেপটাইড কীভাবে বেনিফিট দিতে পারে।

হেলদি হেয়ার গ্রোথ প্রোমোট করে

পেপটাইড আমাদের চুলের ফলিকলে ব্লাড সার্কুলেশন বাড়াতে সাহায্য করে, যাতে করে অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্টস চুলের গোড়ায় পৌঁছে যেতে পারে। এতে করে হেলদি হেয়ার গ্রো করতে পারে।

চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে

হেয়ার গ্রো করা একটি স্বাভাবিক ঘটনা হলেও DHT বা ডাই হাইড্রোটেস্টোসটেরোন নামের একটি হরমোন হেয়ার গ্রোথ কমিয়ে দিতে পারে। এটিকে বাধা প্রদান করে এই পেপটাইড। পাশাপাশি এটি চুলে কোলাজেন ও ইলাস্টিন প্রোডাকশনও বাড়ায়। এতে করে চুল পড়া কমে, চুল মজবুত হয়, চুলের গ্রোথ বাড়ে এবং নতুন চুলও গজায়।

পেপটাইড চুলের ঘনত্ব বাড়ায়

চুলকে ঘন করে

চুল ঘন ও হেলদি হওয়ার জন্য স্ক্যাল্পের হেলথ ভালো থাকাটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ স্ক্যাল্পে যদি ইনফ্ল্যামেশন হয়, তাহলে চুল আস্তে আস্তে পাতলা ও দুর্বল হতে থাকে। পেপটাইডের অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি প্রোপার্টিজ চুলের স্ক্যাল্প ভালো রাখে ও হেয়ার ফলিকলের পরিমাণ বাড়ায়। ফলে নতুন চুল গজায় এবং চুল আগের চাইতে ঘন হতে পারে।

স্ক্যাল্প ও চুলকে হাইড্রেটেড রাখে

যদি ড্রাই হেয়ার হয়ে থাকে, তাহলে হেয়ার কেয়ার রুটিনে পেপটাইড বেইজড প্রোডাক্ট ইউজ করা উচিত। কেননা পেপটাইড চুলকে নারিশ করে এবং হাইড্রেটেড রাখতে হেল্প করে। এতে করে ধীরে ধীরে চুল হেলদি, সফট ও শাইনি হয়ে উঠতে পারে।

ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ থেকে চুলকে প্রোটেক্ট করে

অ্যান্টি অক্সিডেন্ট প্রোপার্টিজ থাকায় পেপটাইড ফ্রি রেডিক্যাল ও টক্সিন থেকে চুলকে প্রোটেক্ট করে৷ সেই সাথে এটি চুল পেকে যাওয়ার প্রবণতাও নিয়ন্ত্রণ করে।

চুলের জন্য কোন অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট ব্যবহার করবেন?

কারা পেপটাইড ইউজ করতে পারবেন?

সব ধরনের চুলের জন্যই পেপটাইড ব্যবহার করা যায়। তবে যাদের ড্রাই ও ড্যামেজড হেয়ার, তাদের জন্য এটি ব্যবহার করা মাস্ট। আপনারা পেপটাইড আছে এমন হেয়ার মাস্ক, সিরাম, কন্ডিশনার এসব ব্যবহার করতে পারেন। পরামর্শ থাকবে, পেপটাইড আছে এমন কোনো প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করে নিবেন। তাছাড়াও অনেকেই ডায়েটে কোলাজেন বা পেপটাইডের সাপ্লিমেন্টস অ্যাড করতে চান। সেক্ষেত্রেও আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।

এক কথায় যদি বলা হয়, নতুন চুল গজাতে পেপটাইড খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। হেয়ার কেয়ার রুটিনে যদি এটি অ্যাড করা হয় এবং নিয়মিত ইউজ করা হয়, তাহলে আশা করি দ্রুতই ভিজিবল রেজাল্ট দেখতে পাবেন। অথেনটিক মেকআপ, স্কিনকেয়ার ও হেয়ারকেয়ার প্রোডাক্টসের জন্য আমি সবসময়ই সাজগোজ এর উপর ভরসা রাখি। আপনারাও ভিজিট করুন সাজগোজের ওয়েবসাইট, অ্যাপ বা ফিজিক্যাল স্টোরে। সাজগোজের বেশ কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। এ শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ন মল্লিকা, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে ও চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টারে অবস্থিত। এই শপগুলোর পাশাপাশি চাইলে অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকেও কিনতে পারেন আপনার দরকারি বা পছন্দের সব প্রোডাক্টস।

 

ছবিঃ সাজগোজ

The post নতুন চুল গজাতে পেপটাইড কতটুকু কার্যকরী? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/wx8cgMh
Continue reading

Wednesday, April 17, 2024

রেটিনল ব্যবহার করেও কেন সুফল পাচ্ছি না?

রেটিনল ব্যবহার করেও কেন সুফল পাচ্ছি না?

বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় স্কিন কেয়ার ইনগ্রেডিয়েন্টগুলোর মধ্যে রেটিনল একটি। বলা হয়ে থাকে, রেটিনল হলো অ্যান্টি এজিং স্কিন কেয়ারের হিরো। তাই যারা এজিং সাইনস নিয়ন্ত্রণ করতে স্কিন কেয়ার শুরু করেছেন, তারা হয়তো অনেকেই স্কিন কেয়ার রুটিনে এটি অ্যাড করেছেন। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, রেটিনল ব্যবহার করার পরেও সেভাবে বেনিফিট পাওয়া যাচ্ছে না, বরং মনে হচ্ছে ত্বকের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আপনার সাথেও যদি এমন হয়ে থাকে, তাহলে আজকের ফিচারটি আপনার জন্য। কারণ আজকে জানাবো এত কার্যকরী হওয়া সত্ত্বেও রেটিনল কেন আপনার ত্বকে কাজ করতে পারেনা সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

ত্বকের যত্নে রেটিনল

রেটিনল হচ্ছে ভিটামিন এ এর ডেরিভেটিভস। সকল রেটিনল ও রেটিনয়েডসই ভিটামিন এ থেকে পাওয়া যায়। এটি খুবই পরিচিত একটি অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট। ত্বকের সেল টার্ন ওভার বৃদ্ধি, ত্বকের সেল রিনিউ করে ত্বকের ফাইন লাইনস, রিংকেল ইত্যাদি দূর করতে রেটিনল কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এর পাশাপাশি এটি ত্বকের একনে কমাতে সাহায্য করে, ব্রণের দাগ হালকা করে, এমনকি সান বার্ন ও মেছতার দাগও হালকা করে।

রেটিনল কেন ত্বকে কাজ করে না

রেটিনল ব্যবহার করে কেন উপকার হচ্ছে না?

ত্বকের যত্নে রেটিনল ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই এখন এটি স্কিন কেয়ার রুটিনে এটি যুক্ত করছেন। কিন্তু কিছু ভুলের জন্য রেটিনল আপনার ত্বকে সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে। আসুন এবার জেনে নেই সেই ভুলগুলো সম্পর্কে।

বয়স ও ত্বকের সমস্যা বিবেচনা না করা

রেটিনলযুক্ত প্রোডাক্ট ত্বকে মানানসই হবে কিনা এবং সঠিকভাবে কাজ করবে কিনা তার অনেকটাই নির্ভর করে বয়স ও ত্বকের সমস্যার উপর। রেটিনল যেহেতু বয়সের ছাপ দূর করতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে, তাই টিনএইজে রেটিনল ব্যবহার করলে তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বরং যাদের ত্বকে এজিং সাইন রয়েছেন, একনে কিংবা হাইপারপিগমেন্টেশন এর সমস্যা আছে, তারা রেটিনল ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পেতে পারেন। যদি এগুলো বাদে ত্বকের অন্য কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে রেটিনল আপনার ক্ষেত্রে কাজ নাও করতে পারে।

ধারাবাহিকতার অভাব

ধারাবাহিকতা বা কনসিসটেন্সিকে বলা হয়ে থাকে যেকোনো ত্বকের পরিচর্যার অন্যতম চাবিকাঠি।  যেকোনো স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে এবং ফলাফলের জন্য ধৈর্য রাখতে হবে। রেটিনল ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেমন এক রাতের মধ্যে ত্বকের আমূল পরিবর্তন আশা করলেও হবেনা, তেমনি নিয়ম মেনে সময়মতো ব্যবহার না করলেও কোনো লাভ হবে না।

অতিরিক্ত সান এক্সপোজারে রেটিনল ঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে

অতিরিক্ত সান এক্সপোজার

ত্বকের যত্নে সানস্ক্রিনের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি দিনের বেলা সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা হয়, অন্য কোনো প্রোডাক্টই সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনা। যেহেতু রেটিনল একটি শক্তিশালী অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট, তাই এটি স্কিনকে সান সেনসিটিভ করে তোলে। যদি আপনারা স্কিন কেয়ার রুটিনে রেটিনল অ্যাড করে সানস্ক্রিন ইউজ না করেন, তাহলে রেটিনলের বেনিফিট তো পাবেন ই না, উল্টো ত্বক আরো ইরিটেটেড হয়ে যাবে। তাই সঠিক পরিমাণে সানস্ক্রিন ব্যবহার ও রিঅ্যাপ্লাইয়ে সচেতন হোন। ডে টাইমে নূন্যতম ৩০ এসপিএফ যুক্ত সান্সক্রিন ব্যবহার করুন এবং  পুরো ফেইসে দুই আংগুল পরিমাণ ইউজ করুন। সেই সাথে ৩ ঘণ্টা পরপর সানস্ক্রিন রিঅ্যাপ্লাই করতে ভুলবেন না।

সংবেদনশীল ত্বকে রেটিনল ব্যবহার করা

ত্বকের বর্তমান অবস্থা বুঝে তারপরই রেটিনল রুটিনে যুক্ত করতে হবে। যাদের ত্বক অত্যন্ত সেনসিটিভ কিংবা ত্বকে একজিমা, সোরিয়াসিস, Rosacea (রোজেশিয়া) ইত্যাদি সমস্যা রয়েছে, তাদেরকে রেটিনল ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ সংবেদনশীল ত্বকে রেটিনল ব্যবহার ত্বকের অবস্থা আরো বিপজ্জনক করে তুলতে পারে। তাই আগে নিজের ত্বকের অবস্থা বুঝুন, তারপরই রেটিনল যুক্ত করুন। একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন এবং সে অনুযায়ী রেটিনল বা এর ডেরিভেটিভসগুলো স্কিন কেয়ার রুটিনে অ্যাড করুন।

ত্বকের যত্নে প্রতিটি প্রোডাক্টের সঠিক ব্যবহার জানুন

রেটিনলের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার

প্রতিটি জিনিস ব্যবহারেরই একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করলে রেটিনল ত্বকে খুব ভালো কাজ করে। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা রেটিনল অতিমাত্রায় ব্যবহার করে ফেলেন। এতে ত্বকে সেনসিটিভিটি, ইরিটেশন, এলার্জি ইত্যাদি আরো অনেক রকম সমস্যা দেখা দেয়। তাই রেটিনলের কার্যকারিতা পেতে চাইলে অতিমাত্রায় ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

বেসিক স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো না করা

ত্বক ভালো রাখতে রেটিনল খুব ভাল কাজ করে ঠিকই, কিন্তু তার মানে এই নয় যে স্কিন কেয়ারের বেসিক রুটিন ফলো করার কোনো প্রয়োজন নেই। অবশ্যই একটি ভালো মানের ক্লেনজার, ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন ইউজ করবেন। তাহলেই রেটিনল ব্যবহারের আসল বেনিফিট পাবেন।

আশা করছি এখন বুঝতে পারছেন কোন ভুলগুলোর কারণে রেটিনল বা এর ডেরিভেটিভসগুলো এত কার্যকরী হওয়া সত্ত্বেও ত্বকে ভালো ফলাফল দিতে পারে না। এই ভুলগুলো এড়িয়ে চললেই দেখবেন রেটিনল ব্যবহার করে হেলদি লুকিং স্কিন পেতে পারবেন। অথেনটিক মেকআপ, স্কিনকেয়ার ও হেয়ারকেয়ার প্রোডাক্টসের জন্য আমি সবসময়ই সাজগোজ এর উপর ভরসা রাখি। আপনারাও ভিজিট করুন সাজগোজের ওয়েবসাইট, অ্যাপ বা ফিজিক্যাল স্টোরে। সাজগোজের বেশ কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। এ শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ন মল্লিকা, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে ও চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টারে অবস্থিত। এই শপগুলোর পাশাপাশি চাইলে অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকেও কিনতে পারেন আপনার দরকারি বা পছন্দের সব প্রোডাক্টস।

 

ছবিঃ সাজগোজ, সাটারস্টক

 

 

 

The post রেটিনল ব্যবহার করেও কেন সুফল পাচ্ছি না? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/Tjlge7s
Continue reading

Sunday, April 7, 2024

সুপারফুড না খেয়ে যে উপকারিতাগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন

সুপারফুড না খেয়ে যে উপকারিতাগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন

আপনাকে যদি বলি, ডেইলি ডায়েটে পাঁচটি সুপারফুড অ্যাড করলেই হেয়ার ও স্কিন কন্ডিশনে আসবে আমূল পরিবর্তন, তাও আবার আপনার বাজেটের উপর কোনো চাপ ছাড়াই! খুব এক্সাইটিং লাগছে শুনতে তাই না? আসলে গ্লোয়িং স্কিন ও শাইনি হেয়ার সবসময়ই ভীষণ ডিমান্ডিং। এই হেলদি লুকিং স্কিন ও হেয়ারের জন্য দরকার ভেতর থেকে পুষ্টি। এক্ষেত্রে সুপারফুড হতে পারে আপনার স্কিন ও হেয়ার কনসার্নগুলোর পার্মানেন্ট সল্যুশন। আজকের ফিচারে আপনাদের জানাবো কিছু সুপারফুড এবং এদের স্কিন ও হেয়ার বেনিফিটস নিয়ে।

সুপারফুড আসলে কী?

সুপারফুড হলো রিচ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং মিনালেরস সমৃদ্ধ এমন কিছু খাবার যেগুলো আমাদের বডিতে সঠিক নারিশমেন্ট প্রোভাইড করে এবং আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে। সুপারফুডে ভিটামিন, মিনারেলস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর ঘনত্ব অন্যান্য খাবারের তুলনায় অনেক বেশি থাকে।

কিছু পরিচিত সুপারফুড হলো

  • গাজর
  • ডিম
  • টকদই
  • চিয়াসিড
  • মধু
  • দারুচিনি
  • বাদাম
  • লেবু
  • মিষ্টি আলু

ত্বক ও চুলের যত্নে সুপারফুড

পাঁচটি বাজেট ফ্রেন্ডলি সুপার ফুড

অনেকেই মনে করেন, পুষ্টিকর খাবার বলতে শুধুমাত্র এক্সপেনসিভ খাবারগুলোকেই বোঝানো হয়ে থাকে। ব্যাপারটি কিন্তু একদমই সেরকম নয়। বাজেটে সীমাবদ্ধতা থাকলেও আপনারা সুপারফুড খেতে পারেন। চলুন দেরি না করে এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেই পাঁচটি বাজেট ফ্রেন্ডলি সুপারফুড সম্পর্কে, যেগুলো আমাদের খুবই পরিচিত এবং ডেইলি ডায়েটে এগুলো অ্যাড করলে আমাদের স্কিন ও হেয়ারের সর্বোচ্চ বেনিফিট নিশ্চিত হবে।

বাদাম

আমরা কম বেশি সবাই বাদামকে ড্রাই ফ্রুট হিসেবে বিবেচনা করে থাকি। ভিটামিন বি ও হেলদি ফ্যাট সোর্স হিসেবে বাদাম স্কিনের ইলাস্টিসিটি ও কোলাজেন প্রোডাকশনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। বাদামে থাকা সেলেনিয়াম একটি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা হেলদি ও ইয়াংগার লুকিং স্কিনের জন্য উপযোগী। বাদামের মধ্যে আমন্ড বা কাঠবাদামকে বেস্ট বিউটিফুড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ এটি স্কিনে নারিশমেন্ট প্রোভাইডের পাশাপাশি হেয়ার ফলিকলের নিউট্রিশনও নিশ্চিত করে। এতে করে হেয়ারফল কন্ট্রোল করাও পসিবল হয়। তাছাড়াও পেস্তা বাদামে থাকা হাই ফাইবার হেলদি হেয়ার গ্রোথ নিশ্চিত করে এবং স্কিন হেলথ মেনটেইন করে। এছাড়াও আখরোটে থাকা বায়োটিন হেলদি ও শাইনি হেয়ার গ্রোথ প্রমোট করে। তাই যদি ইয়াংগার লুকিং স্কিন ও স্ট্রং হেয়ার পেতে চান তাহলে প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন এই অসাধারণ সুপারফুডটি!!

লেবু

আপনার স্কিন হেলদি ও গ্লোয়িং থাকার মূল শর্ত হচ্ছে সাউন্ড ডাইজেস্টিভ সিস্টেম। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে কিছুটা লেবুর রস মিক্স করলে পান করলে তা ইনস্ট্যান্ট ডিটক্সিফিকেশনের কাজ করে। এই ড্রিংকটি আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে স্মুথ রাখে। এছাড়াও লেবুতে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন বিল্ডিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা স্ট্রং হেয়ার গ্রোথের পাশাপাশি স্কিনকে গ্লোয়িং ও ব্রাইট রাখার জন্যও কিন্তু ইম্পর্ট্যান্ট। সেই সাথে খুশকি মুক্ত স্ক্যাল্পের জন্যও লেবু একটি শক্তিশালী উপাদান। তাই প্রতিদিনের খাবারে লেবু হতে পারে একটি মাস্ট হ্যাভ আইটেম!

সুপারফুড হিসেবে মধুর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ

মধু

আপনি যদি হেয়ার এবং স্কিন নারিশমেন্টের জন্য ভালো এমন একটি সুপারফুড ইনটেক করতে চান, তাহলে মধু হতে পারে আপনার জন্য একটি অন্যতম উপাদান। মধু হেয়ার ও স্কিন নারিশমেন্টের জন্য অন্যতম বেস্ট একটি ন্যাচারাল প্রোডাক্ট। এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি প্রোপার্টিজ, যা স্কিনের ময়েশ্চার রিটেইনে হেল্প করে। সেই সাথে এটি স্কিনকে স্মুথ ও সফ্ট করে। তাছাড়া চুল মজবুত করে তোলা, স্ক্যাল্পে সুদেনিং ইফেক্ট দেওয়া এবং স্ক্যাল্প এর ময়েশ্চার ধরে রাখতে মধু বিশেষ উপযোগী। তাই সুপারফুড হিসেবে, মধু হয়ে উঠতে পারে আপনার জন্য একটি মিরাকেল সিরাপ!

ডিম

স্কিন ও হেয়ার কেয়ারে ডিমের নামটি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং পরিচিত। কিন্তু আমরা কি জানি? ডিম একটা সুপারফুড! ডিমে রয়েছে প্রোটিন, বি১২, ভিটামিন এ এবং ই, আয়রন, বায়োটিনসহ আরো অনেক প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্ট প্রোপার্টিজ যা আমাদের পুরো বডিতে নিউট্রিশন নিশ্চিত করে এবং আমাদের বডির পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে। এছাড়াও, ডিমের সাদা অংশ হাই লাইসিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড ও কোলাজেন সমৃদ্ধ, যা আমাদের স্কিন ও হেয়ার কেয়ারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিদিন খাবার তালিকায় ডিম রাখতে ভুলবেন না।

ইনফ্ল্যামেশন কমাতে দারুচিনি

দারুচিনি

দারুচিনিকে সুপারফুড বলা হয় মূলত এতে থাকা অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রোপার্টিজের জন্য। ইমিউন সিস্টেম বুস্টার হিসেবে এবং বডিতে থাকা টক্সিনস্ রিমুভে দারুচিনি একটি অন্যতম সুপারফুড। একনে ফাইটিং প্রোপার্টিজ থাকায় দারুচিনির রয়েছে বিশেষ খ্যাতি! এটি ত্বকের ইনফ্ল্যামেশন কমানোর মাধ্যমে একনে নিয়ন্ত্রণ করে। এটিকে একটি অন্যতম অ্যান্টি এজিং উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শুধু তাই নয়, স্ক্যাল্প ইনফেকশন থেকে শুরু করে হেয়ার লসের মতো বড় বড় সমস্যার সমাধান করতেও এটি কাজে আসে। এছাড়াও এতে থাকা পলিফেনোলস একটি শক্তিশালী ন্যাচারাল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা হেয়ার গ্রোথে হেল্প করে। আদা ও দারুচিনি পানির সাথে ফুটিয়ে নিলেই রেডি হয়ে যাবে একটি মজাদার হোমমেড হেলদি টি, যা আপনার স্কিন এবং হেয়ার ট্রিটমেন্ট হিসেবে ভীষণ ভালো কাজ করবে।

তো এই ছিল সুপারফুড নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা। আশা করি আপনাদেরকে সুপারফুড নিয়ে সঠিক ধারণা দিতে পেরেছি। একটি কথা সবসময় মনে রাখবেন, ত্বক ও চুলের যত্নে সবার আগে নিজের ডায়েটে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। কারণ যখন আপনি হেলদি খাবার খাবেন, তখনই আপনার ত্বক ও চুল একদম ভিতর থেকে পুষ্টি পাবে। তাই প্রোডাক্ট ব্যবহারের পাশাপাশি নজর দিন ডায়েটে, পরিবর্তনটা নিজেই বুঝতে পারবেন….

লেখা- নূরী শাহারীন

ছবিঃ সাটারস্টক

The post সুপারফুড না খেয়ে যে উপকারিতাগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/Y27T8wm
Continue reading