Monday, November 25, 2024

জাপানিদের সুন্দর ত্বকের গোপন সূত্র বা রহস্য আসলে কী?

জাপানিদের সুন্দর ত্বকের গোপন সূত্র বা রহস্য আসলে কী?

বয়স যেন কেবলই একটি সংখ্যা- জাপানিদের দিকে তাকালে এ কথাটিই বারবার মনে হয়। তাদের ত্বক যেন চিরকালীন তারুণ্যের প্রতীক। জাপানিদের উজ্জ্বল, মসৃণ ত্বক এবং তারুণ্য ধরে রাখার রহস্য নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। বয়স বাড়লেও তাদের ত্বকের সৌন্দর্য যেন কখনো ফিকে হয় না। ফ্ললেস স্কিন আর দীর্ঘায়ু যেন তাদের জন্মগত অধিকার। জাপানিদের সুন্দর ত্বকের গোপন সূত্র বা রহস্য আসলে কী, এই প্রশ্নটি কি আপনার মনেও এসেছে কখনো?

যদিও জেনেটিক ও পরিবেশগত কারণ এখানে ভূমিকা রাখে, তবে জাপানিদের এই তারুণ্য ধরে রাখার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান তাদের হেলদি লাইফস্টাইল এবং তাদের স্কিন কেয়ার রুটিনের। জাপানিরা তাদের প্রতিদিনের খাদ্যকে ওষুধের মতো ভেবে থাকে যা তাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি তাদের ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। যদি আপনিও চান জাপানিদের মতো উজ্জ্বল, তারুণ্যে ভরপুর ত্বক; তাহলে তাদের স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো আপনার জন্য হতে পারে দারুণ উপকারী। আজকের ফিচারে আমরা তুলে ধরবো জাপানিদের ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখার সেই চমৎকার কৌশলগুলো, যা রপ্ত করলে আপনার ত্বকও হয়ে উঠবে হেলদি ও গ্লোয়িং।

জাপানিদের সুন্দর ত্বকের রহস্য

সচেতন খাদ্যাভ্যাস

এদিক দিয়ে কিন্তু সেই দেশের মানুষ প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে অত্যন্ত সচেতন। তারা লো প্রসেসড ও লো সুগার খাবার খেয়ে থাকে। অতিরিক্ত চিনি ও প্রসেসড খাবার তারা এড়িয়ে চলে কারণ এ ধরনের খাবার ত্বকের কোলাজেন নষ্ট করে, পাশাপাশি হজমেও ব্যাঘাত ঘটায়। কোলাজেন যতো নষ্ট হবে ততোই ত্বকে বয়সের ছাপ চলে আসে। বরং তারা তাদের রুটিনে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার রাখে। এ ধরনের খাদ্য উপাদান অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে ত্বক থাকে উজ্জ্বল ও ভেতর থেকে হেলদি।

গ্রীন টি পান

গ্রীন টি জাপানি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে গ্রীন টি বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। এই চা শরীরের টক্সিন দূর করে ত্বক সতেজ রাখতে সাহায্য করে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস লেভেল কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ ফেলার গতি কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি এর অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা তো আছেই। নিয়মিত গ্রীন টি পান ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।

“হারা হাচি বু” টেকনিক

জাপানিরা “হারা হাচি বু” নামে একটি টেকনিক ফলো করে খাবার খায়। হারা হাচি বু টেকনিকের মানে হলো পেটের ৮০% ভরে খাওয়া, অর্থাৎ পাকস্থলীর সম্পূর্ণ অংশ খাদ্য দিয়ে ভর্তি না করে ২০% এর মতো জায়গা খালি রাখা। এটি খাদ্য গ্রহণের সময় অতিরিক্ত খাবার এড়িয়ে চলার রীতি। এতে শরীরে অতিরিক্ত ওজন বাড়ে না এবং হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকে। এই পরিমাণ মেনে খাবার খেলে শরীরের স্বাস্থ্য ভালো থাকার পাশাপাশি ত্বকও থাকে সুন্দর ও সজীব।

ফার্মেন্টেড খাবার

জাপানিদের মধ্যে ফারমেন্টেড বা গাঁজানো খাবারের বেশ কদর রয়েছে। রোজকার খাদ্যাভ্যাসে তারা মিসো স্যুপ বা অন্যান্য ফারমেন্টেড খাবার রাখে। মূলত সয়া ও অন্যান্য শস্যদানা ফার্মেন্ট করে মিসো বানানো হয়। আমরাও চাইলে আমাদের প্রতিদিনের রুটিনে কিছু ফার্মেন্টেড খাদ্য রাখতে পারি, তার মধ্যে অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে টকদই। ফার্মেন্ট করা যেকোনো খাবারে প্রোবায়োটিক ও লাইভ কালচারড ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী। ফার্মেন্টেড খাদ্য আমাদের ত্বককে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে রাখে চির তরুণ।

খাবারতালিকায় মিষ্টি আলু ও মূলা রাখা

জাপানিরা প্রায় নিয়মিতই তাদের খাদ্য তালিকায় মিষ্টি আলু ও মূলা রাখে। মিষ্টি আলু জাপানিদের কাছে স্ন্যাকস ও মিষ্টি খাবার হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। এতে জটিল শর্করা থাকায় খেলে অনেকক্ষণ ক্ষুধা পায় না। মিষ্টি আলুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। তেমনি মূলাও আরেকটি উপকারী সবজি। ১০০ গ্রাম মূলা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করে প্রায় ১৬-২০%। আর ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে ভিটামিন সি অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান।

সামুদ্রিক মাছ খাওয়া

জাপানিরা তাদের খাদ্যতালিকায় মাংসের তুলনায় বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ বেশি রাখে যেমন স্যামন, টুনা ইত্যাদি। সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনের পাশাপাশি থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। সামুদ্রিক মাছে প্রোটিন বেশি থাকে, তেমনি আয়োডিনের পরিমাণও বেশি থাকে। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বকের কোলাজেন ভেঙে যেতে থাকে, এর ফলেই ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। মাছে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও প্রোটিন ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যার ফলে ত্বক থাকে টানটান ও উজ্জ্বল। আমাদের দেশেও সামুদ্রিক মাছ সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ পাওয়া যায়। ত্বক ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় তাই বিভিন্ন ধরনের মাছ যুক্ত করুন।

পর্যাপ্ত পানি পান

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার ওপর জাপানিরা বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়। এ কারণেই তাদের ত্বক দেখতে এতটা চকচকে ও হেলদি দেখায়। পানি ত্বককে হাইড্রেশন দেয় এবং শুষ্কতা দূর করে। হাইড্রেশনের অভাবে ত্বকের চামড়া কুঁচকে যায় আর ত্বক দ্রুত শুষ্ক হয়ে পড়ে, যার ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ বেশি দৃশ্যমান হয়ে উঠে। এতে ত্বক তার নিজস্ব সৌন্দর্য হারায়। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পানের অভ্যাস ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পানের অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।

নিয়মমাফিক এক্সারসাইজ

যেকোনো ধরনের ব্যায়াম ত্বক ও শরীর উভয়েরই তারুণ্য বজায় রাখে। জাপানিরা তাদের দৈনন্দিন জীবনে নিয়মিত এক্সারসাইজ করে থাকে। এক্সারসাইজ শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা ত্বকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে। এছাড়া, এক্সারসাইজ ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়, স্ট্রেস কমায় এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। এভাবে নিয়মিত এক্সারসাইজ ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল ও তারুণ্যদীপ্ত রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়া স্ট্রেসমুক্ত থাকার জন্য জাপানিরা বিভিন্ন ধরনের মেডিটেশন ও রিলাক্সেশন টেকনিকও অনুসরণ করে থাকে। এসব কারণেই জাপানিদের গড় আয়ু যেমন বেশি, তেমন তাদের ত্বকে বার্ধক্যের ছাপও সহজে পড়ে না।

স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে চলা

জাপানিদের সুন্দর ত্বকের আরেকটি রহস্য হলো স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলা। বেসিক স্কিন কেয়ারের মধ্যে ক্লেনজিং, হাইড্রেশন ও সান প্রোটেকশন তাদের ডেইলি রুটিনের বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য সব থেকে জরুরি হলো ত্বককে হাইড্রেটেড রাখা এবং সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এ কারণে হাইড্রেশন ও সান প্রোটেকশন জে- বিউটি তে খুব বেশি প্রাধান্য পায়। দীর্ঘদিন ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে তাই বেসিক এই স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে চলা খুবই প্রয়োজনীয়।

আসলে সুন্দর ত্বক পাওয়ার কোনও জাদুকরী উপায় নেই। এটি নিয়মিত স্কিনকেয়ার ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারার ফসল। জাপানিদের মতো প্রতিদিনের রুটিনে স্বাস্থ্যকর খাবার, এক্সারসাইজ ও বেসিক স্কিন কেয়ার যুক্ত করে আপনিও ত্বকের যত্নে একধাপ এগিয়ে যেতে পারেন। তাই আজই আপনার দৈনন্দিন রুটিনে এই পরিবর্তনগুলো আনুন আর নিজেকে করে তুলুন আরও সুন্দর, আরও আত্মবিশ্বাসী।

ছবি- সাটারস্টক

The post জাপানিদের সুন্দর ত্বকের গোপন সূত্র বা রহস্য আসলে কী? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/OYR8CIw
Continue reading

Monday, November 18, 2024

স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য ট্রাই করুন গ্রিন টির এই ৫টি ফেইসপ্যাক

স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য ট্রাই করুন গ্রিন টির এই ৫টি ফেইসপ্যাক

ওজন কমানোর জন্য অনেকেই নিয়মিত গ্রিন টি পান করে থাকেন। বহুবিধ গুণ সম্বলিত গ্রিন টি শুধু যে ওজন কমাতে সাহায্য করে তাই না, এটি ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, এমনকি ব্লাড প্রেশারও নিয়ন্ত্রণ করে। স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে জনপ্রিয় গ্রিন টি কিন্তু রূপচর্চার উপাদান হিসেবেও পিছিয়ে নেই। ত্বকের যত্নে গ্রিন টি বর্তমানে এতোটাই জনপ্রিয় যে ফেইসওয়াশ, টোনার, সিরাম ইত্যাদি বিভিন্ন প্রোডাক্টে গ্রিন টি নির্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। সুন্দর আর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য গ্রিন টি পান করার পাশাপাশি আপনিও নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন গ্রিন টির কিছু ঘরোয়া ফেইস প্যাক।

স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য গ্রিন টি

গ্রিন টির ফেইস প্যাক সম্পর্কে জানার আগে চলুন জেনে নিই এর উপকারিতা।

১) বয়সের ছাপ কমায়ঃ গ্রিন টি তে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকে বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।

২) চোখের ফোলাভাব দূর করেঃ গ্রিন টির কোল্ড কম্প্রেস চোখের ফোলা ভাব ও ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে।

৩) অয়েলিনেস দূর করেঃ গ্রিন টি স্কিনের অতিরিক্ত সিবাম দূর করে স্কিন ফ্রেশ রাখতে সাহায্য করে।

৪) ব্রণ দূর করতে সাহায্য করেঃ গ্রিন টি-তে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ কমাতে কার্যকরী। এছাড়াও এটি স্কিনের অন্যান্য সমস্যা যেমন লালচে ভাব, ইরিটেশন এগুলো দূর করতেও বেশ সাহায্য করে।

৫) চুল পড়া কমায়ঃ গ্রিন টি-তে থাকা এপিগ্যালোক্যাটেকিন গ্যালেট নামের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এবং চুল পড়া কমাতেও সাহায্য করে।

গ্রিন টি দিয়ে তৈরি সহজ কিছু ফেইস প্যাক

ব্রাইটেনিং ফেইস প্যাক

এই ফেইস প্যাকটি তৈরি করতে লাগবে ১ চা চামচ বেসন, ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং ২ চা চামচ গ্রিন টি। হলুদ ও বেসনের সাথে গ্রিন টি মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। প্যাকটি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। হলুদ স্কিনকে হেলদি ও ব্রাইট করে। এর সাথে গ্রিন টির মিশ্রণ ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। যাদের স্কিনে ব্রণ বা অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব রয়েছে, তাদের জন্য এই ফেইস প্যাকটি বেশ উপকারী।

অ্যান্টি এজিং ফেইস প্যাক

১ টেবিল চামচ গ্রিন টি, ১ টেবিল চামচ কমলার খোসা গুঁড়ো আর আধা চা চামচ মধু একত্রে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে পুরো মুখে অ্যাপ্লাই করুন। ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। কমলার খোসায় থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট স্কিনের নমনীয়তা ধরে রাখে, স্কিন ব্রাইট করে এবং স্কিনের বলিরেখা প্রতিরোধ করে। আর মধু স্কিনকে রাখে নরম, কোমল ও হাইড্রেটেড।

দাগহীন ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য ফেইস প্যাক

১ টেবিল চামচ গ্রিন টি ভিজিয়ে রেখে তাতে ২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো (কোনো হার্শনেস যেন না থাকে, একদম ফাইন ডাস্ট হতে হবে) আর টকদই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ফেইসে অ্যাপ্লাই করুন। ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এই প্যাকটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বিশেষ উপযোগী। ত্বকের দাগ, ব্রণ ও কালচে ভাব দূর করতে এটি সাহায্য করে। এছাড়াও স্কিনের ইরিটেশন ও হাইপারপিগমেন্টেশন কমিয়ে আনতে হেল্প করে।

অয়েল কন্ট্রোলের জন্য ফেইস প্যাক

অতিরিক্ত সিবাম দূর করতে এবং স্কিন ডিপ ক্লিন করতে এই ফেইস প্যাকটি দারুণ কাজ করে। গ্রিন টি তৈরি করে সেটি ঠাণ্ডা করে নিয়ে ১ চামচ মুলতানি মাটির সাথে ২ চামচ পরিমাণ গ্রিন টি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি যেন কিছুটা ঘন হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। এই প্যাকটি মুখে, গলায় ও ঘাড়ে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১-২ দিন এই ফেইস প্যাক ব্যবহার করে দেখুন স্কিন কতটা গ্লো করে!

নারিশিং ফেইস প্যাক

মধু ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে বেশ জনপ্রিয় একটি উপাদান। এটি স্কিনকে হেলদি ও স্মুথ রাখতে সাহায্য করে। এর সাথে গ্রিন টির মিশ্রণ স্কিনের অয়েল ব্যালেন্স করে এবং স্কিনের ইনফ্ল্যামেশন কমিয়ে স্কিনকে এনে দেয় ন্যাচারাল গ্লো। ১ টেবিল চামচ ফ্রেশ গ্রিন টির সাথে ২ টেবিল চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে পুরো ফেইসে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ড্রাই স্কিনের জন্য খুব ভালো কাজ করে।

পুষ্টিগুণ বিচারে গ্রিন টি বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে। গ্রিন টির যেমন রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতা; তেমনি স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্যও এর ভূমিকা অতুলনীয়। তবে যেকোনও ফেইস প্যাক ব্যবহারের ক্ষেত্রেই প্যাচ টেস্ট করে নিতে হয় তেমন গ্রিন টির তৈরি ফেইস প্যাকও প্যাচ টেস্ট করে তারপর ব্যবহার করুন। DIY ফেইস প্যাকগুলো সেনসিটিভ ত্বকের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে, এটি খেয়াল রাখবেন। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে নিয়মিত গ্রিন টি পান করার পাশাপাশি স্কিন কেয়ার রুটিনে এই জাদুকরী উপাদানটির ব্যবহার আপনার আপনার ত্বকে এনে দেবে এক নতুন সতেজতা।

ছবি- সাটারস্টক

The post স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য ট্রাই করুন গ্রিন টির এই ৫টি ফেইসপ্যাক appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/X96KSGT
Continue reading

Wednesday, November 13, 2024

শীত আসলেই পায়ের ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ দেখায়?

শীত আসলেই পায়ের ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ দেখায়?

শীতে ত্বকের জন্য এমনিতেই দরকার হয় একটু বাড়তি যত্নের। কিন্তু শরীরের অন্যান্য অংশের যত্ন নেওয়ার প্রতি যতটা মনোযোগ দেওয়া হয় পায়ের যত্নের দিকে আসলে সেভাবে খেয়াল করা হয় না। অথচ পায়ের ওপরেই থাকে সারা শরীরের ভর। আর পা সুন্দর রাখতে গেলে শীতে পায়ের জন্য প্রয়োজন একটু বাড়তি যত্ন। তা না হলে পায়ের ত্বক হয়ে পড়বে রুক্ষ, শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ। সাথে দেখা দিতে পারে পা ফাটার সমস্যা। শীত আসলেই পায়ের ত্বক নিষ্প্রাণ যেন না হয়, সেজন্য ফলো করতে হবে কিছু টিপস!

শীত আসলেই পায়ের ত্বক রুক্ষ? 

পায়ের ত্বক ভালো রাখতে কিন্তু খুব কঠিন কিছু করার প্রয়োজন নেই। প্রতিদিন অল্প কিছু সময় ব্যয় করেই আপনি আপনার পায়ের ত্বক ভালো রাখতে পারেন। চলুন জেনে নিই পায়ের যত্নের সহজ কিছু পদ্ধতি।

১. ময়েশ্চারাইজড রাখুন

শীতে আবহাওয়া শুষ্ক হওয়ার কারণে বাতাসে ধুলো ময়লার পরিমাণ বেশি থাকে। তাই প্রতিদিন বাইরে থেকে ফেরার পর অবশ্যই পা দুটো ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। এরপর হালকা ভেজা থাকা অবস্থায় পায়ে ময়েশ্চারাইজিং লোশন, ক্রিম বা বডি অয়েল ব্যবহার করুন ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য। প্রতিদিন গোসলের পরেও পায়ে ভেজা ভাব থাকা অবস্থাতেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

২. রাতেও চাই বিশেষ যত্ন

রাতের বেলা পায়ের ত্বকে পেট্রোলিয়াম জেলি বা গ্লিসারিন ভালোভাবে লাগিয়ে তারপর সুতির মোজা পরে থাকতে পারেন। এতে পায়ের শুষ্কতা ও পা ফাটার সমস্যাও দূর হবে।

৩. অয়েল ম্যাসাজ করুন

পায়ের শুষ্কতার সমস্যা থেকে বাঁচতে পায়ে তেল ম্যাসাজ করা বেশ উপকারী। এক্ষেত্রে অলিভ অয়েল, তিলের তেল বা বাদাম তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। ম্যাসাজের আগে তেল হালকা গরম করে নিতে পারেন। এতে যেমন ক্লান্তি দূর হয়ে পায়ের আরাম হবে, তেমন নিয়মিত অয়েল ম্যাসাজের কারণে পায়ের ত্বকও ভালো থাকবে। কারণ এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।

৪. ট্রাই করুন DIY টোটকা

পায়ের ত্বক খুব বেশি রুক্ষ হলে গোলাপজল ও গ্লিসারিনের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। এতে কয়েক ফোঁটা আর্গান অয়েল যোগ করে নিন। এতে শীত আসলেই পায়ের ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে না! বরং পায়ের ত্বক হবে কোমল ও মসৃণ।

৫. নিজেই করে নিন পেডিকিওর

সপ্তাহে একদিন পায়ের যত্নে একটু বাড়তি সময় ব্যয় করুন। কুসুম গরম পানিতে অল্প লবণ, এক চা চামচ বডি অয়েল বা অলিভ অয়েল, এক চা চামচ শ্যাম্পু বা শাওয়ার জেল মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এরপর একটি পিউমিস স্টোন বা ঝামা পাথর দিয়ে পায়ের গোড়ালি ঘষে নিন, ভেজা গোড়ালি থেকে সহজেই পায়ের মৃত কোষ দূর হয়ে গোড়ালি মসৃণ হয়ে উঠবে। পায়ের ত্বকে কোনও স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। এরপর লাগিয়ে নিন কোনও ঘরোয়া প্যাক। যেমনঃ টমেটো ও মধুর প্যাক। এটি রোদে পোড়া ভাব দূর করে এবং ত্বককে করে তোলে কোমল ও মসৃণ। সবশেষে পা ভালোভাবে মুছে পায়ে লোশন বা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

৬. জুতোর দিকেও খেয়াল রাখুন

পায়ের ত্বক সুন্দর রাখতে এবং পা ফাটা প্রতিরোধ করতে ঘরেও নরম জুতো বা স্যান্ডেল পরে থাকার অভ্যাস করুন। পাশাপাশি প্রতিদিনের ব্যবহারে ভালো মানের জুতো ব্যবহার করুন। ভালো মানের জুতো বা স্যান্ডেল পায়ের অনেক সমস্যা কমিয়ে দেয়।

৭. লোশন নির্বাচনে উপাদান দেখে নিন

শীতের সময় যতবার পায়ে পানি ব্যবহার করবেন ততবারই পায়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এতে শুষ্কতা অনেকটাই কমে যাবে। শীতকালে এমন ময়েশ্চারাইজার পায়ের ত্বকের জন্য বেছে নিন যাতে অয়েলের পরিমাণ বেশি থাকে। শিয়া বাটার, আর্গান অয়েল বা ভিটামিন ই আছে এমন লোশন আপনার জন্য বেস্ট অপশন হতে পারে।

৮. পায়ের ত্বকের সান প্রোটেকশন জরুরি

পায়ের ত্বক শীতে আরো সুরক্ষিত রাখতে বাইরে গেলে পা ঢাকা জুতা পরতে পারেন। পা দুটোকে যতো বেশি শীত ও ধুলোবালি থেকে রক্ষা করা যাবে পা ততোই ভালো থাকবে। দিনের বেলায় খোলা স্যান্ডেল ব্যবহার করলে পায়ের ত্বকে সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না।

শীত আসলেই পায়ের ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়ার সমস্যা যারা ফেইস করেন, তারা আজ সল্যুশন পেয়ে গেলেন! ছোট ছোট এই কৌশলগুলো নিয়মিত মেনে চললে শীতে জুড়ে আপনার পায়ের ত্বক নিয়ে আপনাকে কোনও চিন্তাই করতে হবে না। ঘরোয়া যত্নের পাশাপাশি আরামদায়ক জুতোর ব্যবহার, পায়ের ত্বক নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখা এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার পা থাকবে কোমল ও মসৃণ। সাথে পা ফাটার সমস্যাও আর থাকবে না। আশা করি আজকের ফিচারটি আপনাদের জন্য হেল্পফুল ছিল। আজ এ পর্যন্তই। ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন।

ছবি- সাটারস্টক

The post শীত আসলেই পায়ের ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ দেখায়? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/cBLuF0o
Continue reading

Tuesday, November 12, 2024

১০টি সহজ ও ছোট অভ্যাস যা আপনার জীবনে আনবে বড় পরিবর্তন

১০টি সহজ ও ছোট অভ্যাস যা আপনার জীবনে আনবে বড় পরিবর্তন

জীবনে উন্নতি করতে তো আমরা সবাই চাই। কিন্তু সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে দাঁড়িয়ে থাকে একটি প্রশ্ন, “কোন জায়গা থেকে শুরু করবো?” জীবনে উন্নতি ও পরিবর্তন আনতে চাইলে প্রথমেই আমাদের মনে রাখতে হবে, বড় পরিবর্তন কখনো রাতারাতি আসে না। তবে ছোট ছোট কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে যা আমাদের বড় লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করে। এই অভ্যাসগুলো আমাদের প্রতিদিনের জীবনে সহজেই প্রয়োগ করা যায় এবং জীবনের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের ক্ষেত্রে এগুলো বেশ বড় প্রভাব ফেলে। এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলোকে বলা হয় মাইক্রো হ্যাবিট। মাইক্রো হ্যাবিট নিয়মিত চর্চা করতে থাকলে প্রায় অজান্তেই এগুলো আমাদের রুটিনের অংশ হয়ে ওঠে এবং সময়ের সাথে আমাদের সামগ্রিক জীবনের উন্নতি ঘটায়। চলুন জেনে নিই এমন ১০টি সহজ ও ছোট অভ্যাস যা আপনার জীবনে আনবে বড় পরিবর্তন!

১০টি সহজ ও ছোট অভ্যাস

১. সকালটা শুরু হোক এক গ্লাস পানি পান করে

সারারাত ঘুমানোর পর সকালে উঠে পানি পান করা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। ঘুমের সময়ে আমাদের শরীর দীর্ঘ সময় ধরে পানি পায় না বলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। তাই সকালে এক গ্লাস পানি পান করলে তা শরীরকে দ্রুত হাইড্রেটেড করে।এটি আমাদের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরকে সক্রিয় করে। সকালে পানি পান করার ফলে আমাদের মস্তিষ্কও সতেজ হয়ে ওঠে, যা দিন শুরু করার জন্য আমাদের প্রস্তুত করে।

২. প্রতিদিন অন্তত ৫ মিনিট মেডিটেশন করা

মেডিটেশন বা প্রার্থনা মানসিক শান্তি অর্জনের একটি কার্যকরী উপায়। প্রতিদিন মেডিটেশন করলে চিন্তার জটিলতা কমে এবং মন শান্ত রাখা সহজ হয়। মেডিটেশন আমাদের মানসিক চাপ কমাতে এবং দৈনন্দিন জীবনে মনোযোগ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও প্রার্থনা করার মাধ্যমে আমরা আমাদের অনুভূতিগুলোকে প্রকাশ করতে পারি এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারি। প্রার্থনা আমাদের মধ্যে ইতিবাচক অনুভূতির সঞ্চার করে।

৩. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন

প্রতিদিন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা আমাদের মনোভাবকে ইতিবাচক রাখতে সাহায্য করে। যখন আমরা আমাদের দিনটি নিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি, তখন আমরা আরও পজিটিভ হতে পারি এবং জীবনের প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পেতে পারি। সারাদিনে অন্তত একটি জিনিসের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা অভ্যাসে পরিণত করলে, আপনার মানসিক স্বাস্থ্য অনেক উন্নত হবে।

৪. জার্নাল লিখুন, তৈরি করুন টু-ডু লিস্ট

প্রতিদিনের কাজের পরিকল্পনা তৈরি করা এবং জার্নাল লেখা আমাদের সংগঠিত রাখতে সাহায্য করে। আপনার দৈনন্দিন কাজের তালিকা তৈরি করলে আপনি আপনার দায়িত্বগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকবেন, কোনও কাজ বাদ পড়বে না এবং কাজগুলো গুরুত্ব অনুসারে সম্পন্ন করতে পারবেন। এটি টাইম ম্যানেজমেন্টেও সাহায্য করে। এছাড়া আপনার চিন্তা-ভাবনা, অনুভূতি ও অভিজ্ঞতাগুলো জার্নালে লিখলে তা স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে। এটি নিজের অগ্রগতি বুঝতে সাহায্য করে যা আত্ম উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।

৫. সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিরতি নিন

একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিরতি নিন। এটি আপনাকে মানসিক প্রশান্তি দিবে এবং নিজের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ দিবে। তাছাড়া কাজের দিকে ভালোভাবে ফোকাস করতে পারবেন যদি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কিছু সময় দূরে থাকেন। প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকলে ঘুমের মান উন্নত হয়। বিশেষ করে ঘুমের আগে ডিভাইস থেকে দূরে থাকা আমাদের মন ও শরীরকে আরাম দেয় এবং ঘুমের আগে মস্তিষ্ককে রিফ্রেশ করতে সাহায্য করে।

৬. প্রতিদিন কয়েক পৃষ্ঠা বই পড়ুন

বই পড়ার অভ্যাস আমাদের জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে। এটি আমাদের কল্পনাশক্তি বাড়ায় এবং নতুন নতুন ধারণা গ্রহণের সুযোগ দেয়। বই পড়ার মাধ্যমে আমরা ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি উপলব্ধি করতে পারি এবং নিজেদের চিন্তাকে আরো উন্মুক্ত করতে সক্ষম হই। তাই প্রতিদিন কিছু সময় বই পড়ার জন্য বের করুন, এটি আপনাকে জীবনের নতুন পথ দেখাতে সাহায্য করবে।

৭. প্রতিদিন নতুন কিছু শিখুন

প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে আমাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত উন্নতিতে অসাধারণ প্রভাব ফেলে। ছোট পরিসরে হলেও প্রতিদিন কিছু নতুন দক্ষতা অর্জন করলে আমাদের মন আরও দ্রুত কাজ করতে শেখে, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ায় এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে। হতে পারে নতুন একটি ডিজিটাল ফিচারের ব্যবহার শিখলেন অথবা নতুন কোনও তথ্য জানলেন। এ ধরনের ছোট ছোট দক্ষতা অর্জন আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।

৮. রোজ কোনও বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করুন

বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এটি আমাদের একাকিত্ব কমায় এবং সামাজিক সম্পর্কগুলো উন্নত করে। বন্ধুরা আমাদের জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় আমাদের সাপোর্ট দিতে পারে এবং আমাদের আনন্দের মুহূর্তগুলোকে ভাগ করে নিতে পারে। তাই সময় পেলেই কোনও বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন, কথা বলতে না পারলে ছোট একটি ম্যাসেজ দিন। এটি আপনার সামাজিক দক্ষতার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

৯. নিজের সাথে সময় কাটান

নিজের জন্য কিছু সময় বের করা জীবনে পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কিছু সময় নিজের পছন্দের কাজ করলে বা প্রকৃতির মাঝে ঘুরতে গেলে মানসিক চাপ কমে যায়। নিজেকে বোঝার জন্য নিজের সাথে সময় কাটানো খুবই কার্যকরী একটি চর্চা। এটা আপনার মাইন্ড রিফ্রেশ করে এবং জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য শক্তি জোগায়।

১০. আপনার সারাদিনের পর্যালোচনা করুন

প্রতিটি দিনের শেষে কিছুটা সময় নিয়ে ভাবুন, আজকের দিনটি কেমন গেল। কী কী ভালো হয়েছে, কোন কোন ক্ষেত্রে আপনি আরও উন্নতি করতে পারেন- তা নিয়ে একটু চিন্তা করুন। এই অভ্যাসটি আমাদের প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা থেকে শেখার সুযোগ দেয়। নিজেকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করে।

এই মাইক্রো হ্যাবিটগুলোর প্রত্যেকটির নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে এবং এগুলো একত্রে আমাদের জীবনযাত্রাকে উন্নত করে। এ ধরনের মাইক্রো হ্যাবিট আমাদের মধ্যে শৃঙ্খলা গড়ে তোলে, ইতিবাচক মানসিকতা তৈরি করে এবং সময়ের সাথে সাথে জীবনে গভীর পরিবর্তন আনে। তাই জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চাইলে আজ থেকেই এই অভ্যাসগুলো গড়ে তুলতে শুরু করুন। শুরুতে একটি দুটি করে অভ্যাসগুলোর চর্চা শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে আরও যোগ করুন। যদি এই অভ্যাসগুলো দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন, তাহলে আপনি দেখবেন সময়ের সাথে সাথে আপনার জীবন কতটা সুন্দর ও অর্থপূর্ণ হয়ে উঠছে।

ছবি- সাটারস্টক

The post ১০টি সহজ ও ছোট অভ্যাস যা আপনার জীবনে আনবে বড় পরিবর্তন appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/aRkmArE
Continue reading

Sunday, November 10, 2024

শুধু কপালেই ব্রণ উঠছে কেন আর এর সল্যুশনই বা কী?

শুধু কপালেই ব্রণ উঠছে কেন আর এর সল্যুশনই বা কী?

জীবনে কোনোদিন ব্রণ বা একনে সমস্যার মুখোমুখি হননি এমন মানুষ পাওয়া ভার। তার মাঝে ফোরহেড একনে বা কপালে ব্রণ হওয়া বেশ কমন একটি সমস্যা। আর স্পেশাল প্রোগ্রামের আগে যদি ফোরহেড একনে হয় তাহলে তো কথাই নেই। মেকআপ করে বা পিম্পল প্যাচ ব্যবহার করে, যাই হোক না কেন এই জেদি একনে থেকে মুক্তি পেতে চাই। আচ্ছা কখনো মনে হয়েছে কি শুধু কপালেই কেন ব্রণ উঠছে? এর কারণ ঠিক কী?

চলুন জেনে নেই কী কারণে হয় ফোরহেড একনে এবং এর প্রতিকারের উপায়।

শুধু কপালেই কেন ব্রণ দেখা দিচ্ছে?

পোরস ক্লগ হওয়া

অন্য একনের মতো স্কিনের পোরস ক্লগ হয়েই ফোরহেড একনে তৈরি হয়। স্কিনের সেবাসিয়াস গ্ল্যান্ড যখন অতিরিক্ত সিবাম বা অয়েল প্রোডিউস করে স্কিনের পোর ক্লগ করে দেয় তখনই ব্রণের সূত্রপাত হয়। এটি প্রধান কারণ হলেও আরও কিছু কারণ রয়েছে যা এই সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।

হরমোনাল চেঞ্জ

সাধারণত পিউবার্টি টাইম বা বয়ঃসন্ধিকালে একনে সমস্যা দেখা দেয়। এই সময়ে হঠাৎ করে শরীরে নানারকম হরমোনাল পরিবর্তন হওয়ায় স্কিনে সিবাম প্রোডাকশন বেড়ে যায়। এতে বিভিন্ন ধরনের একনের পাশাপাশি ফোরহেড একনেও বেড়ে যায়।

স্ক্যাল্পের সমস্যা ও হেয়ার প্রোডাক্টস

যাদের স্ক্যাল্প ও স্কিন অয়েলি তারা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন। ভালো করে হেয়ার ওয়াশ না করলে চুলে থাকা অতিরিক্ত তেল বা হেয়ার প্রোডাক্টের অবশিষ্টাংশ কপালে একনে তৈরি করে। তাছাড়া জেল, হেয়ার ক্রিম, স্প্রে ইত্যাদি ব্যবহারেও অনেক সময় এই সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে যাদের হেয়ারলাইনে খুশকি থাকে, তাদের কিন্তু কপালের অংশে ব্রণ বেশি দেখা দেয়। অনেক সময় ফাঙ্গাল একনেও একসাথে দেখা দিতে পারে। পুরো ফেইসে ব্রণ নেই, কিন্তু শুধু কপালেই কেন ব্রণ উঠছে, এটা জানতে হলে আগে দেখুন আপনার ড্যানড্রাফের প্রবলেম আছে কিনা।

মেকআপ ক্লিন না করা

মেকআপ, সানস্ক্রিন সঠিকভাবে রিমুভ করা না হলে একনে সমস্যা দেখা দেয়। শুধু গালের অংশ ভালোভাবে পরিষ্কার করলেন, কিন্তু কপালের এরিয়া স্কিপ করলেন, এতে কিন্তু ফোরহেড একনে বেড়ে যেতে পারে। তাই মেকআপ বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে অবশ্যই রাতে একবার ডাবল ক্লেনজিং করুন। তাহলে দেখবেন একনের সমস্যা অনেকটাই কমে গেছে।

টাইট হেডগিয়ার

বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের এমন হেডগিয়ার (যেমনঃ হেলমেট, হিজাব, ক্যাপ) পরতে হয় যাতে লং টাইম ফোরহেড এরিয়া ঢেকে থাকে। এতে করে স্কিনে ঠিকভাবে বাতাস লাগে না। দীর্ঘসময় এভাবে থেকে কপালের ত্বক ঘেমে যায়। এ কারণেও ফোরহেড একনে হয়।

মানসিক চাপ

মানসিক চাপ একনের জন্য অনেকাংশে দায়ী। আমরা যখন মানসিক চাপে থাকি তখন আমাদের শরীরে কর্টিসল নামের হরমোন উৎপন্ন হয় যা অনেক সময় একনে সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে।

ডায়েট

অতিরিক্ত সুগার, ভাজাপোড়া, রিচ ফুড স্কিনে ব্রেকআউট বাড়িয়ে দেয়। আর তখন ফোরহেড একনেও বেড়ে যায়।

বেডিং, পিলোকেস ও টাওয়াল

আমাদের বেডশিট, পিলোকেস, টাওয়াল অনেক সময় ঠিকভাবে ক্লিন করা হয় না। দেখা যায় সপ্তাহ পেরিয়ে মাস হয়ে যাচ্ছে অথচ একই পিলোকেস! কিন্তু আমাদের চুল, স্কিন এবং আশেপাশে থেকে এসব ব্যবহার্য জিনিসে ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া জমা হয়ে এটাই আবার আমাদের ত্বকের স্পর্শে এসে একনে ব্রেকআউট ঘটায়।

কীভাবে দূর করবেন ফোরহেড একনে?

ন্যাচারাল সল্যুশন

প্রতিদিন প্রোপার স্কিনকেয়ারের পাশাপাশি ফোরহেড একনে দূর করতে কিছু ন্যাচারাল রেমেডি অ্যাপ্লাই করতে পারেন। তবে অবশ্যই স্কিন কন্ডিশন বুঝে এবং প্যাচ টেস্ট করে ন্যাচারাল রেমেডি অ্যাপ্লাই করবেন।

  • ইচিনেস বা রেডনেস দেখা দিলে অ্যালোভেরা জেল এফেক্টেড এরিয়াতে অ্যাপ্লাই করতে পারেন।
  • টি ট্রি অয়েল পানির সাথে কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে কটন প্যাডের সাহায্যে একনের উপর অ্যাপ্লাই করতে পারেন।
  • অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ওয়ান কোয়ার্টার নিয়ে তাতে থ্রি কোয়ার্টার পানি মিশিয়ে কটন প্যাডে লাগিয়ে ব্যবহার করুন, ফোরহেড একনে কমে আসবে।
  • ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে জিংক সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন কারণ জিংক স্কিন কোয়ালিটি ইমপ্রুভ করে।

কেমিক্যাল বেইজড স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টস

একনে সমস্যা দূর করতে যে কেমিক্যালগুলো খুব ভালো কাজ করে সেগুলো হল স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, বেনজোয়েল পারঅক্সাইড ও রেটিনল। একনের সমস্যাটি কী ধরনের তার উপর নির্ভর করে এই উপাদানগুলোর মধ্য থেকে কোনোটি বেছে নিতে হবে। সাধারণত স্যালিসাইলিক অ্যাসিড একনে দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। আবার ব্যাকটেরিয়াল একনে কমাতে বেনজোয়েল পারঅক্সাইড বেশি ভালো কাজ করে। রেটিনল একদম লো কনসেন্ট্রেশনে রাতের স্কিনকেয়ার রুটিনে ইনক্লুড করা যায়, যদি আপনার বয়স ২৫+ হয়। এ ধরনের প্রোডাক্ট অ্যাপ্লাইয়ের ক্ষেত্রেও প্যাচ টেস্ট এবং সঠিক ব্যবহারবিধি অনুসরণ করতে হবে। দিনের বেলা সানস্ক্রিন কিন্তু মাস্ট!

ফোরহেড একনে সাধারণ একটি ত্বকের সমস্যা, তাই এতে অতিরিক্ত চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। সঠিক জীবনযাপন এবং নিয়মিত ত্বকের যত্নই হতে পারে এই সমস্যার সমাধান। কিছু নিয়ম মেনে চললেই আশা করা যায়, অল্প কিছুদিনের মধ্যে কপালের ব্রণ অনেকটাই কমে যাবে, আর ত্বক ফিরে পাবে তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। যদি ফাঙ্গাল একনে হয়, তাহলে ট্রিটমেন্ট আলাদা।  সংক্রমণ খুব বেশি হলে বা কোনওভাবেই একনে নিয়ন্ত্রণে না এলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ছবি- সাটারস্টক
লেখা- রুজাইয়াত তানজিল

The post শুধু কপালেই ব্রণ উঠছে কেন আর এর সল্যুশনই বা কী? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/stRgJoI
Continue reading

Saturday, November 9, 2024

সেটিং স্প্রে ব্যবহারের ৫টি নতুন হ্যাকস

সেটিং স্প্রে কি শুধুই মেকআপ এর শেষে ব্যবহার করতে হয়? আর কোনো ব্যবহার নেই? চলুন দেখে নেই….

 

প্রোডাক্ট কিনতে ক্লিক করুন শপ.সাজগোজ.কম

The post সেটিং স্প্রে ব্যবহারের ৫টি নতুন হ্যাকস appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/ugVtemK
Continue reading

Wednesday, November 6, 2024

স্কিনকেয়ার করার পরও ব্রণ এর সমস্যা কেন কমছে না?

স্কিনকেয়ার করার পরও ব্রণ এর সমস্যা কেন কমছে না?

পিম্পল বা ব্রণ, এই ছোট্ট একটি জিনিস অনেকের লাইফে ভয়াবহ আকার ধারণ করে, তাই না? অনেকে হয়তো বিভিন্ন স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ইউজ করেছেন এই ব্রণ থেকে মুক্তির জন্য, কিন্তু ব্রণ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। স্কিনকেয়ার করার পরও ব্রণ এর সমস্যা কেন কমছে না? এর কারণ কী? আগে জানতে হবে একনে কেন হয়। চলুন জেনে নেই তাহলে।

কারণগুলো আসলে কী?

হরমোনের প্রভাব

টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাবে সেবাসিয়াস গ্ল্যান্ড থেকে সেবাম বা অয়েল সিক্রেশন বেড়ে যায়। স্বাভাবিকভাবে সেবাসিয়াস গ্ল্যান্ড বেশি অ্যাকটিভ হয়ে গেলে পোরস সাইজ বড় হয়ে যায়, কারণ এটি বেশি পরিমাণে সেবাম রিলিজ করে। আর এই সেবাসিয়াস কনটেন্ট যদি কোনো কারণে ভেতরে ট্র্যাপড হয়ে যায়, বাইরে না বের হতে পারে; তাহলে এটি ইনফ্ল্যামেটেড ও ইনফেক্টেড হয়ে একনে তৈরি করে।

টেস্টোস্টেরন মেল সেক্স হরমোন হলেও নারী-পুরুষ সবার শরীরে এই হরমোন দেখা যায়। যদি নারীদের হরমোনাল ইমব্যালেন্স থাকে, তাহলে এই হরমোনের নিঃসরণ বেশি হয়। তাই PCOS থাকলে একনে বেশি দেখা দেয়। কর্টিসল বা স্ট্রেস হরমোনের প্রভাবেও সেবাম সিক্রেশন বেড়ে যেতে পারে।

জীবনযাত্রার ধরন

হরমোনাল ইস্যুর পাশাপাশি অতিরিক্ত কার্ব, সুগারি ফুড আইটেম, তেলে ভাজা খাবার, পানি কম খাওয়া একনের জন্য দায়ী হতে পারে। আবার, ঠিকমতো না ঘুমানো, হাইজিন মেনটেইন না করা এগুলোও কিন্তু এর সাথে জড়িত। অনেকের ফুড হ্যাবিট ও জেনেটিক্যাল কারণে অ্যাডাল্ট একনে হতে পারে।

স্কিনকেয়ার করার পরও ব্রণ কমছে না, এক্ষেত্রে করণীয়?

একনের বেশ কিছু ধরন আছে। সাধারণত ৪ ধরনের একনে বেশি দেখা দেয়- Blackheads, Whiteheads, Papule, Pustule। স্কিনকেয়ার করার পর ব্রণ একদম সাথে সাথে চলে যাবে, এই ধারণা ভুল। একনে প্রিভেন্ট করতে সঠিক স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট সিলেক্ট করার সাথে সাথে আপনাকে লাইফস্টাইলেও পজেটিভ চেঞ্জ আনতে হবে। ঘুমানোর সময় যে বালিশের কভার ব্যবহার করছেন, তা পরিষ্কার আছে কিনা সেদিকে নজর রাখুন। মেকআপ ব্রাশ, হাতের নখ, মোবাইল কভার, তোয়ালেও পরিষ্কার রাখা জরুরি।

পোরস ডিপলি যেন ক্লিন থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সপ্তাহে ১/২ দিন স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ব্যবহার করলে পিম্পলস কমে আসবে। সেই সাথে লাইট ময়েশ্চারাইজার, অয়েল ফ্রি সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সপ্তাহে ১/২ দিন ক্লে বেইজড মাস্ক ব্যবহারে ফেইসের অতিরিক্ত অয়েলিনেস কমে আসবে। এতে ব্রণের উপদ্রব কমবে। এক কথায় স্কিনকেয়ার রুটিন একদম সিম্পল রাখুন।

কখন যাবেন চিকিৎসকের কাছে

ব্রণ বা একনে ত্বকের এমন একটি সমস্যা, যা টিনেজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে দেখা যায়। টিনেজে প্রায়শই দেখা যায়। তবে অনেক সময় ২৫-৩০, এমনকি ৩৫-৫০ বয়সীদেরও ত্বকের এই সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়।ব্রণের বিভিন্ন ধরন আছে। টিনেজ একনে আপনাআপনি ঠিক হয়ে যায় সাধারণত। সিস্টিক একনে, ফাঙ্গাল একনে অথবা দীর্ঘদিন ব্রণের সমস্যা থাকলে এবং কোনোভাবে না কমলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

স্কিনকেয়ার করার পরও ব্রণ যদি না কমে তাহলে দেখুন আপনার লাইফস্টাইল, হরমোন লেভেল ঠিক আছে কিনা! এটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক প্রোডাক্ট বেছে নিতে ভুলবেন না। মনে রাখবেন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার সাথে স্কিনকেয়ার রুটিন মিনিমাল রেখে নিয়মিত সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারলে সেটাই আপনাকে পিম্পল ফ্রি, হেলদি, গ্লোয়ি স্কিন দিতে পারবে।

ছবি- সাটারস্টক

The post স্কিনকেয়ার করার পরও ব্রণ এর সমস্যা কেন কমছে না? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/LE58nBk
Continue reading