Thursday, May 16, 2024

সানস্ক্রিন ব্যবহারে এড়িয়ে চলুন এই ১০টি ভুল

সানস্ক্রিন ব্যবহারে এড়িয়ে চলুন এই ১০টি ভুল

তীব্র দাবদাহের মাধ্যমে গ্রীষ্মকাল নিজের উপস্থিতি জানান দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়তই। গ্রীষ্মের প্রচন্ড রোদে থাকে উচ্চমাত্রায় আল্ট্রা-ভায়োলেট রশ্মি, যার কারণে ত্বকে রোদে পোড়া কালচে ছোপ, মেছতা, মেলাজমা থেকে শুরু করে ত্বকের ক্যান্সারও হতে পারে। তাই ডে টাইমে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে দরকার হাই এস পি এফ যুক্ত সানস্ক্রিন। তবে সানস্ক্রিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু ভুল অভ্যাসের কারণে এটি ঠিকভাবে কাজ করতে পারেনা, যার ফলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করেও সেভাবে সুফল পাওয়া যায় না। আসুন আজকের ফিচারে জেনে নেই ১০টি ভুল সম্পর্কে যা সানস্ক্রিন ব্যবহারে এড়িয়ে চলতে হবে।

সানস্ক্রিন ব্যবহারে যে ভুলগুলো করা যাবে না

সানস্ক্রিন ত্বকের জন্য কতটা দরকারি তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। স্কিন কেয়ারের মাস্ট হ্যাভ একটি প্রোডাক্ট হচ্ছে সানস্ক্রিন। ডে টাইমে মিনিমাম এস পি এফ ৩০-৬০ আছে এমন সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। এখনকার এই আবহাওয়ায় ঠিকভাবে সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরেও অনেকের ত্বকেই সানট্যান পড়ে যাচ্ছে। সানস্ক্রিন ব্যবহারের ১০টি ভুলের কারণে এমন হতে পারে।

১. ভালো ব্র্যান্ডের হাই এস পি এফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা

বলা হয়ে থাকে সস্তার তিন অবস্থা। কিন্তু স্কিন কেয়ারে অনেকে সব থেকে কম বাজেটটাই রাখেন সানস্ক্রিন কেনার জন্য। দামি সিরাম, এসেন্স ইত্যাদি কিনতে আগ্রহী সবাই, কিন্তু সানস্ক্রিনের বেলায় অনেকে কম দামিটাই কিনতে চান। অথচ ত্বকের যত্নে অন্যতম একটি প্রোডাক্ট হচ্ছে সানস্ক্রিন।

একটি ভালো মানের সানস্ক্রিনের ফর্মুলেশন যথেষ্ট জটিল হওয়ায় এর দামটাও কিছুটা বেশি হয়ে থাকে পরিমাণের তুলনায়। নন ব্রান্ডের কমদামি লো এস পি এফ যুক্ত সানস্ক্রিন ঠিকভাবে সান প্রোটেকশন নাও দিতে পারে। তাই সানস্ক্রিন কেনার আগে এর মান যাচাই করে নিন। অবশ্যই ভালো ব্রান্ডের হাই এস পি এফ যুক্ত এবং ত্বকের সাথে মানানসই সানস্ক্রিন কিনতে হবে। আপনার কেনা সানস্ক্রিনটি যেন ইউভি এ ও ইউভি বি থেকে যথেষ্ট সুরক্ষা দিতে পারে সেদিকেও নজর দিতে হবে পারচেজ করার ক্ষেত্রে। ও হ্যাঁ, যেকোনো সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নিন যে সানস্ক্রিনটি আপনার জন্য মানানসই কিনা।

সানস্ক্রিন ব্যবহারে এড়িয়ে চলুন এই ভুলগুলো

২.যথেষ্ট পরিমাণে সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা:

অনেকেই আছেন যারা সানস্ক্রিন প্রতিদিন ব্যবহার করছেন ঠিকই, কিন্তু তা খুবই অল্প পরিমাণে। বেশিরভাগ মানুষেরই ধারণা সানস্ক্রিন অল্প পরিমাণে লাগালেই যথেষ্ট। এই ভুল ধারণার জন্যই প্রতিদিন ভালো ভালো ব্র‍্যান্ডের সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরেও ত্বকে ডে টাইমে সান বার্ন হচ্ছে এবং দিন দিন ত্বক কালচে হয়ে পড়ছে। তখন দোষ দিয়ে ফেলছেন ব্যবহৃত সানস্ক্রিনকেই। কিছু সানস্ক্রিন হোয়াইট কাস্ট দেয় বলে অথবা হেভি ফর্মুলার সানস্ক্রিন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও অনেকে অস্বস্তিবোধ থেকেও কম পরিমাণে সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করে থাকেন। যদি সানস্ক্রিনের ফর্মুলেশন আপনার পচ্ছন্দ না হয় বা অস্বস্তিবোধ করেন, তাহলে তা বদলে ফেলুন। কিন্তু পরিমাণ মতো সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। সম্পূর্ণ মুখ ও গলার অংশ কভার করতে দুই আংগুল পরিমাণ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে,যেটাকে বলা হয়ে থাকে ‘টু ফিংগার রুল’।

৩. ঠোঁটে এস পি এফ যুক্ত লিপবাম ব্যবহার না করা

আমাদের ঠোঁটের ত্বক খুবই পাতলা। তাই খুব সহজেই সান বার্ন হতে পারে। তাই ঠোঁটের জন্য লিপ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। আপনারা এস পি এফ আছে এমন অনেক লিপবাম মার্কেটে পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে নিজের পছন্দের লিপবাম বেছে নিতে পারেন।

৪. সানস্ক্রিন রিঅ্যাপ্লিকেশনে অনীহা

সানস্ক্রিন শুধু অ্যাপ্লাই করলেই হবে না, সেই সাথে রিঅ্যাপ্লাইও করতে হবে। ভালো প্রোটেকশন যুক্ত সানস্ক্রিন সর্বোচ্চ ২-২.৫ থেকে ৩ ঘন্টা প্রোটেকশন দিয়ে থাকে। তাই নির্দিষ্ট সময় পরপর সানস্ক্রিন রিঅ্যাপ্লাই করতেই হবে। রিঅ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রেও সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে। নয়তো স্কিনে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিবে। তবে হ্যাঁ, মেকআপের উপর সানস্ক্রিন রিঅ্যাপ্লাই করা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং, সেক্ষেত্রে স্টিক বা স্প্রে সানস্ক্রিন বেছে নিতে পারেন।

ওয়েদার যেমনই হোক, সানস্ক্রিন স্কিপ করবেন না

৫. মেঘলা দিনগুলোতে সানস্ক্রিন স্কিপ করা

অনেকেরই অভ্যাস থাকে মেঘলা দিনে সানস্ক্রিন ব্যবহার না করার। তারা মনে করেন, যেহেতু সূর্য দেখা যাচ্ছেনা, তাই সানস্ক্রিন ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। আকাশ মেঘলা থাকুক বা না থাকুক, ডে টাইমে সানস্ক্রিন ইউজ করা একদম ম্যান্ডেটরি। কেননা মেঘলা দিনেও কিন্তু সূর্য উঠে এবং মেঘের পরত ভেদ করেও ভূপৃষ্ঠে সূর্যের ক্ষতিকর ইইভি এ ও ইউভি বি রশ্নি প্রতিফলিত হয়। তাই মেঘলা দিনেও ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সুতরাং মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

৬. বাসায় থাকলে সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা

অনেকের ধারণা বাসায় থাকলে সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করতে হয় না। কিন্তু ডে টাইমে রোদের আলো সরাসরি অথবা প্রতিফলিত হয়ে ঠিকই ঘরে ঢুকে যায়। তাই বাসায় অবস্থান করলেও সানস্ক্রিন স্কিপ করা যাবেনা।

৭. অন্য প্রোডাক্টের সাথে সানস্ক্রিন মিক্স না করা

সানস্ক্রিনকে অন্য কোনো প্রোডাক্ট, যেমন- ময়েশ্চারাইজার, সিরাম, মেকআপ আইটেম ইত্যাদির সাথে মিক্স করে ব্যবহার করলে সানস্ক্রিন তার ইফেক্ট ও প্রোটেকশন লেভেল কিছুটা হলেও হারিয়ে ফেলে। তাই ময়েশ্চারাইজার বা সিরাম জাতীয় প্রোডাক্ট যদি ব্যবহার করতে হয়, তবে তা সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে অ্যাপ্লাই করে নিন। এভাবে ব্যবহার করলে সান্সক্রিনের কার্যকারিতা সম্পূর্ণরূপে বজায় থাকবে।

সানস্ক্রিন মিসটেকস

৮. শিশুদের সানস্ক্রিন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন

শিশুদের ত্বক ও বড়দের ত্বক এক নয়। অনেক সময়েই শিশুদের জন্য উপযুক্ত সানস্ক্রিনে এমন কিছু উপাদান থাকে যা ম্যাচিউর স্কিনে ক্লোজড কমেডোনস তৈরি করতে পারে। তাই নিজের ত্বকের ধরন অনুযায়ী সানস্ক্রিন বাছাই করুন।

৯. সঠিক ফর্মুলেশনের সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা

শীতের সময় যে সানস্ক্রিন ব্যবহার করে আপনি স্বস্তি পেয়েছেন, গরমে সেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করেই অস্বস্তি লাগতে পারে। তাই গরমের জন্য জেল বেইজড বা ওয়াটারি ফর্মুলার পাতলা কন্সিসটেন্সির সানস্ক্রিন বাছাই করুন। এছাড়াও গরমের সময় ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত, যেগুলো ঘামের সাথে সহজে ত্বক থেকে মুছে যাবেনা।

১০. অতিরিক্ত রোদে শুধু সানস্ক্রিনের উপরেই ভরসা করা

ত্বক কে সুরক্ষিত রাখতে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতেই হবে, তবে এর পাশাপাশি তীব্র রোদের সময় সরাসরি রোদ অ্যাভয়েড করতে হবে। রোদের মধ্যে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করতে হবে অথবা স্কার্ফ, হ্যাট ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।

এই তীব্র গরমে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে এবং ত্বকের সমস্যা কমাতে অবশ্যই সানস্ক্রিনের সঠিক ব্যবহার প্রয়োজন। তাই প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন সঠিক পদ্ধতিতে। তাহলেই দেখবেন ত্বক ভালো রাখতে পারবেন। যেকোনো অথেনটিক মেকআপ, স্কিনকেয়ার ও হেয়ারকেয়ার প্রোডাক্টসের জন্য আমি সবসময়ই সাজগোজ এর উপর ভরসা রাখি। আপনারাও ভিজিট করুন সাজগোজের ওয়েবসাইট, অ্যাপ বা ফিজিক্যাল স্টোরে। সাজগোজের বেশ কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। এ শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ন মল্লিকা, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে ও চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টারে অবস্থিত। এই শপগুলোর পাশাপাশি চাইলে অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকেও কিনতে পারেন আপনার দরকারি বা পছন্দের সব প্রোডাক্টস।

 

 

ছবিঃ সাটারস্টক, সাজগোজ

The post সানস্ক্রিন ব্যবহারে এড়িয়ে চলুন এই ১০টি ভুল appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/YyBIh7n
Continue reading

Monday, May 13, 2024

পারফিউমের স্মেল লং-লাস্টিং করতে কী করবেন?

পারফিউমের স্মেল লং-লাস্টিং করতে কী করবেন?

বাইরে যাওয়ার সময় পারফিউম অ্যাপ্লাই করতে আমরা অনেকেই পছন্দ করি। আমাদের কালেকশনে নিশ্চয়ই বিভিন্ন ফ্র্যাগ্রেন্সের পারফিউম রয়েছে, তাই না? কিন্তু পারফিউম নিয়ে সবার একটি কমন কমপ্লেইন হলো অ্যাপ্লাই করার কিছুক্ষণ পরই এটির স্মেল গায়েব হয়ে যায়। আবার সবসময় ব্যাগে পারফিউম ক্যারিও করা যায় না বলে পড়তে হয় বিপত্তিতে! চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু সিম্পল ট্রিক যেগুলো আপনার পারফিউমের স্মেল করবে লং-লাস্টিং।

সাধারণত পারফিউম কতটুকু লং-লাস্টিং হয়?

পারফিউম অ্যাপ্লাই করতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুবই কম। প্রিয় ফ্র্যাগ্রেন্সের পারফিউম দিলে মুডটাই ভালো হয়ে যায় তাই না? এই পারফিউমের ধরনেও আছে ভিন্নতা। মার্কেটে মিস্ট, EDP (Eau de Parfum), EDT (Eau de Toilette) ইত্যাদি বিভিন্ন ফর্মে পারফিউম পাওয়া যায়। একটি পারফিউম কতটুকু লং লাস্টিং হবে তা নির্ভর করে পারফিউমে থাকা পারফিউম অয়েল কতটুকু কনসেনট্রেশনে রাখা হয়েছে সেটির ওপর। যে পারফিউমে যত হাই কনসেনট্রেশানে পারফিউম অয়েল থাকে, তার স্মেল তত বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়। পারফিউমের কম্পোজিশন ভেদে একেকটি স্মেল সাধারণত ২-৮ ঘন্টা স্থায়ী হয়।

কীভাবে পারফিউমের স্মেল লং-লাস্টিং করবেন?

এই সিম্পল ট্রিকগুলো ফলো করলে পারফিউমের স্মেল হবে আরেকটু লং লাস্টিং।

পারফিউমের স্মেল লং-লাস্টিং করতে কী করবেন?

ড্যাম্প ও ময়েশ্চারাইজড স্কিনে স্প্রে করুন

আমাদের বেশিরভাগের অভ্যাস হলো বাইরে যাওয়ার ঠিক আগে পারফিউম অ্যাপ্লাই করা। কিন্তু ড্যাম্প স্কিনে পারফিউম স্প্রে করা হলে পারফিউমের স্মেল অনেকক্ষণ স্কিনে থাকে। তাই চেষ্টা করবেন ড্যাম্প স্কিনে পারফিউম অ্যাপ্লাই করতে। শাওয়ার করার পর ড্যাম্প স্কিনে প্রথমে একটি নন ফ্র্যাগরেন্স ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করুন। তারপর নিজের পছন্দের পারফিউম স্প্রে করুন। ড্রাই অবস্থায় আমাদের স্কিন পারফিউমের মলিকিউলগুলোকে ধরে রাখতে পারে না বলেই কিছুক্ষণ পর স্মেল কমে যায়। অন্যদিকে স্কিন ড্যাম্প অবস্থায় ময়েশ্চারাইজড করে পারফিউম ব্যবহার করলে পারফিউমের মলিকিউলগুলো স্কিনে থেকে যায় বলে দীর্ঘ সময় স্মেল ইনট্যাক্ট থাকে।

বডির পালস পয়েন্টগুলোতে স্প্রে করুন

অনেকেই আছেন যারা পুরো বডিতে পারফিউম স্প্রে করতে পছন্দ করেন। আপনারা পুরো বডিতে পারফিউম স্প্রে না করে পালস পয়েন্টে, অর্থাৎ শুধুমাত্র কবজি, গলা ও কানের পেছনের অংশে পারফিউম স্প্রে করতে পারেন। আমাদের বডির এই এরিয়াগুলো বেশি পরিমাণে হিট প্রোডিউস করতে পারে, যা পারফিউমের অয়েল ওয়ার্ম করে আমাদের স্কিনে দ্রুত অ্যাবজর্ব হতে সাহায্য করে এবং এর ফলেই পারফিউমের সেন্ট হয়ে ওঠে লং-লাস্টিং।

আনসেন্টেড পেট্রোলিয়াম জেলি বা লিপবাম ব্যবহার করুন

আনসেন্টেড লিপবাম বা পেট্রোলিয়াম জেলি স্কিনে একটি অয়েলি বেইজ তৈরি করে, যা পারফিউমের মলিকিউলগুলো ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই পারফিউম স্প্রে করার আগে এটি ব্যবহার করলে দীর্ঘ সময় ওই পারফিউমের স্মেল ঠিকভাবে পাওয়া যায়। তাই পালস পয়েন্টে পারফিউম অ্যাপ্লাই করার সময় এ ট্রিকটি ফলো করতে পারেন। তবে খুব বেশি পরিমাণে পেট্রোলিয়াম জেলি অ্যাপ্লাই করা যাবে না।

পারফিউম হ্যাকস

হাতের কবজিগুলো রাব করা থেকে বিরত থাকুন

অনেককেই দেখবেন যারা পারফিউম অ্যাপ্লাই করার পর দুই হাতের কবজি একসাথে রাব করতে থাকেন এবং মনে করেন স্মেল অনেকক্ষণ থাকবে। এটা একটা মিসটেক। এভাবে রাব করা হলে পারফিউমের মলিকিউলগুলো ড্যামেজ হয় বলে পারফিউমের স্মেল কমে যেতে থাকে। তাই কখনোই পারফিউম স্প্রে করার পর দুই হাতের কবজি একসাথে রাব করবেন না।

নিজের কাপড়ে স্প্রে করতে ভুলবেন না

স্কিনের পাশাপাশি চাইলে নিজের কাপড়ে পারফিউম স্প্রে করতে পারেন। এতে করে পারফিউমের স্মেল বেশ লম্বা সময় আপনার সাথে থাকবে।

এই ছোট্ট ট্রিকগুলো ফলো করলেই দেখবেন আপনার পারফিউমের স্মেল দীর্ঘ সময় ইনট্যাক্ট থাকবে। পারফিউমসহ যেকোনো অথেনটিক মেকআপ, স্কিনকেয়ার ও হেয়ারকেয়ার প্রোডাক্টসের জন্য আমি সবসময়ই সাজগোজ এর উপর ভরসা রাখি। আপনারাও ভিজিট করুন সাজগোজের ওয়েবসাইট, অ্যাপ বা ফিজিক্যাল স্টোরে। সাজগোজের বেশ কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। এ শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ন মল্লিকা, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে ও চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টারে অবস্থিত। এই শপগুলোর পাশাপাশি চাইলে অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকেও কিনতে পারেন আপনার দরকারি বা পছন্দের সব প্রোডাক্টস।

ছবিঃ সাটারস্টক

The post পারফিউমের স্মেল লং-লাস্টিং করতে কী করবেন? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/KvZtnu5
Continue reading

Wednesday, May 8, 2024

হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ন্ত্রণ করে পজিটিভ থাকার উপায়

হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ন্ত্রণ করে পজিটিভ থাকার উপায়

দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফিলিংসের মধ্য দিয়ে যাই। জীবনে চলার পথে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনায় আমরা প্রকাশ করি রাগ,অভিমান, দুঃখ কিংবা আনন্দ। কিন্তু যেই অনুভূতিটা আমাদের মনের মধ্যে থাকলেও আমরা সচরাচর প্রকাশ করতে চাই না তা হলো হিংসা কিংবা জেলাসি। কষ্ট ও আনন্দের অনুভূতির মতো এই অনুভূতিটাও অত্যন্ত স্বাভাবিক। অফিসে হয়তো আপনি দেখছেন আপনি প্রচণ্ড হার্ড ওয়ার্ক করেও তার ফলাফল পাচ্ছেন না, কিন্তু আপনার কলিগ আপনার থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আবার রাত জেগে পড়ালেখা করেও মনের মতো রেজাল্ট করতে পারলেন না কিন্তু আপনার বন্ধু আপনার থেকে ভালো নাম্বার পেয়ে গেলো। এমন অসংখ্য কারণে আমাদের আরেকজনের প্রতি জেলাসি বা হিংসাত্মক অনুভূতি হতে পারে। কিন্তু এই জেলাসি অজান্তেই সবার সাথে সম্পর্কগুলো নষ্ট করে এবং আমাদের ভালো থাকার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক কীভাবে হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ন্ত্রণ করে আমরা একটি হ্যাপি ও পজিটিভ লাইফ লিড করতে পারবো।

হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ন্ত্রণ করবেন কীভাবে?

আপনার অনুভূতিকে গ্রহণ করুন

জেলাসিকে মোকাবেলা করার জন্য প্রথমেই আপনি যে কারো উপর জেলাস ফিল করছেন তা মেনে নিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় আমরা কারো উপর জেলাস ফিল করলেও সেটা স্বীকার করতে চাইনা। প্রথমেই আপনাকে মেনে নিতে হবে এবং নিজের কাছে পরিষ্কার থাকতে হবে যে আপনার আরেকজনের সাফল্য দেখে কিছুটা খারাপ লাগছে। কিন্তু অপরাধবোধে ভুগবেন না। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক হিউম্যান ন্যাচার। আপনি একা নন, অনেকেই এই অনুভূতির মধ্য দিয়ে যায়।

হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ন্ত্রণ করে পজিটিভ থাকার উপায়

অন্যের সাথে নিজের তুলনা করা বন্ধ করুন

প্রত্যেক মানুষের জীবনের স্টোরি ও জার্নি আলাদা। আমাদের সবার জীবনের জার্নি আলাদা হবার পরেও নিজেদের জীবনের সাথে আমরা অন্যদের জীবন তুলনা করে ফেলি। এতে করে আমাদের মনে নেগেটিভ ফিলিংস সৃষ্টি হয়৷ সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে আমরা এখন খুব সহজে অন্যের জীবনের অ্যাচিভমেন্টগুলো জানতে পারি। কিন্তু এই অ্যাচিভমেন্টটা অর্জন করার আগে একজন কতবার ব্যর্থ হয়েছে এবং তাকে কতটা কষ্ট করতে হয়েছে তা বেশিরভাগ সময় অজানাই থেকে যায়। তাই সেই সফলতার পেছনের গল্পটাও আমাদের জানা হয় না। অথচ আমরা ঠিকই তাদের সাফল্যের সাথে নিজের ব্যর্থতাকে তুলনা করে কষ্ট পেতে থাকি। তাই প্রথমে অন্যের সাথে নিজের তুলনা করা বন্ধ করতে হবে।

জীবনকে প্রতিযোগিতা হিসেবে নিবেন না

আমাদের অনেকের মধ্যে সবসময় একটি ধারণা থাকে যে “আমাকে সব সময় সবার আগে থাকতে হবে।“ সত্যি বলতে সব সময় অন্যদের চাইতে এগিয়ে থাকা সম্ভব না। কারো লাইফই পুরোপুরি পারফেক্ট না। জীবনে সাফল্য ও ব্যর্থতা একে অপরের পরিপূরক। তাই অন্যের সাথে প্রতিযোগিতা না করে নিজের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে ভালো কিছু করবার এবং নিজের গোল অ্যাচিভ করবার।

সবসময় পজিটিভ থাকুন

অন্যের সফলতা দেখলে অনেকেই নিজেকে ব্যর্থ মনে করে এবং নিজের লাইফের কোনো পজিটিভিটি তাদের চোখেই পড়ে না। হিংসাত্মক মনোভাব দূর করে যেকোনো পরিস্থিতিতে পজিটিভ থাকার জন্য আমরা লাইফের যেসব জায়গায় সফল হয়েছি সেগুলো নিয়ে চিন্তা করতে হবে। সেই সাথে আপনার যে দক্ষতাগুলো রয়েছে সেগুলোও বিবেচনা করতে হবে। নিশ্চয়ই এমন অনেক কাজ আছে যে আপনি খুব ভালো করতে পারেন। এভাবে পজিটিভ থিংকিং এর মাধ্যমে আপনার মনের নেগেটিভ ফিলিংসগুলো আপনি সরিয়ে ফেলতে পারেন।

নিজের লাইফের গোল সেট করুন

নিজের লাইফের গোল সেট করুন

হিংসাত্মক মনোভাব কমাতে অন্যের কাজের উপর ফোকাস না করে আগে নিজের একটি নির্দিষ্ট গোল সেট করুন। আজ থেকে কয়েক বছর পর আপনি নিজেকে যেখানে দেখতে চান সেখানে যাবার জন্য আপনার কেমন ধরনের স্কিল প্রয়োজন তা নিয়ে আগে কাজ করতে হবে। নিজের লক্ষ্য পূরণ করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা নোটপ্যাডে লিখে ফেলুন এবং বাস্তবায়নের চেষ্টা করুন। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং নিজেকে নিয়ে ইনসিকিউরিটি কমে আসবে।

অন্যের সাকসেস সেলিব্রেট করুন

একটা বিষয় সবসময় মাথায় রাখবেন। আপনার বন্ধুর সাফল্য কিংবা আপনার আশেপাশের কারো জীবনে ঘটে যাওয়া ভালো ঘটনা আপনার জীবনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। তাই আপনার আশেপাশের কেউ যদি ভালো কাজ করে এবং ভালোভাবে এগিয়ে যায়, তাহলে তাকে শুভেচ্ছা জানান। অন্যের সফলতা থেকে আপনি অনুপ্রেরণা নিতে পারেন, তবে কখনোই জেলাস ফিল করবেন না।

নিজের জীবনের লক্ষ্য সেট করুন

নিজের অগ্রগতি এড়িয়ে যাবেন না

নিজের সাথে নিজের তুলনা করুন। কারণ এর মাধ্যমে আপনি নিজের অগ্রগতি বুঝতে পারবেন। একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন, বছর দুয়েক আগেও আপনি যে কাজ পারতেন না এখন হয়তো সে কাজ খুব দক্ষতার সাথে পারছেন। আবার গত কয়েক বছরেও আপনার জীবনে অবশ্যই কিছু পজিটিভ চেঞ্জ এসেছে। এভাবে নিজের সাথে নিজের তুলনা করলে দেখবেন আপনি অনেক ধরনের কঠিন কাজ করেই এবং অনেক বাধা বিপত্তি পার করেই আজকে এই জায়গায় এসে দাঁড়াতে পেরেছেন। এভাবে চিন্তা করলে দেখবেন জেলাসি অনেকটাই কমে এসেছে।

পরিশেষে মনে রাখবেন, কারো প্রতি হিংসাত্মক মনোভাব কিংবা যেকোনো ধরনের নেগেটিভ ফিলিংস দিনশেষে আপনারই ক্ষতি করবে। এর ফলে আপনার নিজের প্রতি হীনমন্যতা তৈরি হয়ে আত্মবিশ্বাস কমে আসবে এবং আপনি চাইলেও হয়তো তখন আর সফল হতে পারবেন না। আপনি যদি মনে করেন আপনার এই অনুভূতিগুলো আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, তাহলে অবশ্যই এক্সপার্ট এর সাহায্য নিতে হবে৷

ছবিঃ সাটারস্টক

The post হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ন্ত্রণ করে পজিটিভ থাকার উপায় appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/S2BmGKQ
Continue reading

Monday, May 6, 2024

নবজাতক ও মায়ের জন্য এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

নবজাতক ও মায়ের জন্য এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

সন্তানের জন্যে মায়ের দুধের কোনো বিকল্প নেই। আমরা সবাই কম বেশি জানি মায়ের দুধের উপকারিতা। কিন্তু আসলে নবজাতক ও মায়ের জন্য এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা কি জানি? সন্তান জন্মের আগে থেকেই মায়ের স্তনে দুধ জমতে থাকে এবং শিশু জন্মদানের পর কলোস্ট্রাম বা শালদুধ নিঃসৃত হয় যা বাচ্চার জন্য প্রথম টিকা স্বরূপ। চলুন বিস্তারিত জানা যাক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: তাজরিনা রহমান জেনি এর কাছ থেকে।

শালদুধ কী?

জন্মদানের পর মায়ের হলুদ, আঠালো যে দুধ নিঃসৃত হয় তাই শালদুধ। শালদুধ এর উপকারিতা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।

১) এটি বাচ্চার প্রথম খাবার যা প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ।

২) সঠিক সময়ের আগেই জন্ম হওয়া শিশুদের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় একটি খাবার যাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি আছে।

৩)এটি বাচ্চার স্টুল পাস হতে সাহায্য করে।

৪) এতে প্রচুর ইমিউনো গ্লোবিউলিন আছে ( Ig A বেশি ) যা শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

শালদুধের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তাই কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না। সন্তান জন্ম নেওয়ার সাথে সাথেই মায়ের কাছে দিয়ে দিতে হবে যাতে মা তাকে দুধ খাওয়াতে পারে। অনেকে ভুল করে বা জেনেশুনে বাচ্চার মুখে মধু বা পানি দেয় যা একেবারেই উচিত নয়।

নবজাতক ও মায়ের জন্য এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং

জন্মের প্রথম ছয় মাসে মায়ের দুধ ছাড়া এক ফোঁটা পানিও দেওয়া যাবে না। একে বলে এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং। যদি দেখেন বাচ্চা ঠিকমতো দুধ পাচ্ছে না, তবে বিকল্প উপায়ে হলেও মায়ের বুকের দুধ প্রেস করে খাওয়াতে হবে।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে এতে কি দুধের পুষ্টিগুণ নষ্ট হবে?

না। পরিষ্কার হাত বা পাম্পের মাধ্যমে (ইলেকট্রিক বা উপরোক্ত জিনিসগুলো পাম্পের মতো ব্যবহার করে) কাজটি করলে বাচ্চার কোনো সমস্যা হবে না। আবার অনেক সময় অতিরিক্ত দুধ জমা হলে মায়ের স্তন ব্যথা হতে পারে। তখন বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর দরকার না হলে পরিষ্কার কাপড় গরম পানিতে চিপে নিয়ে স্তনে দিয়ে ম্যাসেজ করে দুধ চিপে ফেলে দিতে হবে। প্রসব পরবর্তী সময়ের দুই তিন দিনের মধ্যে অনেক সময় স্তনে ব্যথা হয়। অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

এখন জেনে নিন মায়ের দুধের উপকারিতা

শিশুর জন্য উপকারিতা

  • ইনফেকশনের হাত থেকে বাঁচায়
  • সহজে হজম ও শোষিত হয়
  • বাচ্চার মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে
  • বাচ্চাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
  • মায়ের সাথে আত্মিক বন্ধন গঠন করে
  • বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে

মায়ের জন্য উপকারিতা

১। মায়ের জরায়ু সঠিক অবস্থানে ফিরে আসার জন্য স্তন্য পান করানোর গুরুত্ব অনেক।

২। পরবর্তী গর্ভধারণ প্রলম্বিত করে, ফলে অনেকটা স্বাভাবিক জন্মবিরতিকরণ পিলের ন্যায় কাজ করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে শতকরা ৭০ ভাগ মায়ের বাচ্চাকে দুধ পান করানো পর্যন্ত ঋতুস্রাব হয় না যদি বাচ্চা এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং এ থাকে। কারণ প্রোল্যাক্টিন হরমোন এতে পরোক্ষভাবে বাঁধা দেয়।

৩। মায়ের স্তন ও ডিম্বাশয় ক্যান্সারে বাঁধা দেয়। এতে পরিবারের আর্থিক খরচ অনেকটাই কমে যায়। পাশাপশি পরিবার পরিকল্পনায় সাহায্য করে।

সঠিক পজিশন ও অ্যাটাচমেন্ট

মা ও সন্তানের, উভয়ের সুস্থতার জন্যেই প্রয়োজন সঠিক উপায়ে দুধ পান করানো। বাচ্চাকে সঠিক পজিশনে ধরতে হবে। বাচ্চার পুরো শরীর হাত দিয়ে তুলে ধরে দুধ খাওয়াতে হবে। বাচ্চা মায়ের বুকে লেগে থাকবে, মাথা ও শরীর সোজা থাকবে। নাক থাকবে মায়ের নিপল বরাবর। থুতনি মায়ের স্তনে ছুঁয়ে থাকবে। মুখ সম্পূর্ণ হা করে নিচের ঠোঁট বাইরের দিকে উল্টে রেখে খাওয়াতে হবে।

সন্তান জন্মের ৬ মাসের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার দিতে হবে, একে কমপ্লিমেন্টারি ফিডিং বলে। এই খাবার হতে হবে পরিষ্কার, নিরাপদ, সহজলভ্য। শক্তি বর্ধক (ভাত, রুটি, তেল, আলু ), দেহ বৃদ্ধিকারী (মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ডাল), ফল, শাকসবজি নরম করে খেতে দিতে হবে। তৃতীয় বছর থেকে বাচ্চা পরিবারের অন্যান্যদের মতো নরমাল খাবার খেতে পারবে।

আশা করি, নতুন মায়েদের জন্য উপকারী কিছু সঠিক তথ্য দিতে পারলাম। বুঝতেই পারলেন, নবজাতক ও মায়ের জন্য এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আবারো আসবো ভিন্ন কোনো টপিক নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।

ছবি- সাটারস্টক, লেখা- শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: তাজরিনা রহমান জেনি

The post নবজাতক ও মায়ের জন্য এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/MDuXnQc
Continue reading

Sunday, May 5, 2024

এই গরমে সুস্থ থাকতে যা করতে পারেন

এই গরমে সুস্থ থাকতে যা করতে পারেন

রান্নাঘরে গেলেই শিলার মেজাজ খারাপ হচ্ছে। এত গরমের মধ্যে সকালের নাস্তা বানাতে গেলেই ঘেমে নেয়ে যাচ্ছে, তারপর আছে দুপুরের খাবার, বিকালের নাস্তা আর রাতের খাবার বানানোর ঝামেলা।তার হাজবেন্ড আসিফও অফিস থেকে ফিরে বেশ ক্লান্ত হয়ে থাকে। রাতেও শান্তি নেই! ঘুমাতে গেলে মনে হয় ফ্যানের বাতাস গরম হলকা ছাড়ছে। সব মিলিয়ে এই গরমে অতিষ্ঠ জীবন। এই সমস্যা কিন্তু শুধুই শিলার নয়! স্মরণকালের অতিরিক্ত গরম এবার পড়েছে। শহর, নগর, গ্রাম কোথাও কেউ স্বস্তি পাচ্ছে না। নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন এখন একটুতেই মানুষ অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে, এমনকি অনেকে মারাও যাচ্ছে। এখন সবার একটাই চিন্তা কীভাবে এই আবহাওয়ায় ভালো থাকা যায়। প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকার উপায় নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা।

গরমে কী কী স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে থাকে?

প্রচণ্ড গরমের সময় সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে ক্লান্তি বোধ করা, হিট স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক বা ব্রেন স্ট্রোক অন্যতম। এছাড়াও এই সময়ে কিডনি ও ফুসফুসের রোগীদের শারীরিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। গরমে যারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাদের মধ্যে আছেন ৬৫ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ ব্যক্তি, শিশু-কিশোর, গর্ভবতী নারী ও দীর্ঘস্থায়ী রোগাক্রান্ত ব্যক্তিরা।

গরমে সুস্থ থাকতে কী করবেন?

গরমে সুস্থ থাকতে কী করবেন?

গরমে সুস্থ থাকতে এই পরামর্শগুলো মেনে চলুন-

১) সম্ভব হলে বাসায় এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। ইলেকট্রিক বিল কমাতে একই সময়ে এসি ও ফ্যান ব্যবহার করুন। এসির তাপমাত্রা ২৬-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখলে রুম দ্রুত ঠাণ্ডা হবে এবং এতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের খরচ কমে আসবে।

২) কাজের ফাঁকে কিছুটা আরাম পেতে একটি স্প্রে বোতলে পানি নিয়ে মুখে স্প্রে করুন অথবা ভেজা স্পঞ্জ ব্যবহার করে মুখ ও হাত ভিজিয়ে নিন।

৩) গরম পানিতে গোসল না করে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করুন ।

৪) সবসময় হালকা রংয়ের ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। সিনথেটিক কাপড়ের পোশাক এড়িয়ে চলুন এবং সুতি, লিলেন ইত্যাদি কাপড়ের পোশাক বেছে নিন।

৫) আপনার ঘরকে শীতল করার জন্য তাপ নিরোধক কোটিং দেয়ালে দিতে পারেন, বাইরের জানালায় খড়খড়ি বা ভারী পর্দা দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন এবং বাড়িতে ইনডোর প্ল্যান্ট রাখতে পারেন।

গরমে ত্বক ভালো রাখতে সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করুন

গরমে সুস্থ থাকতে সতর্ক থাকুন

প্রচণ্ড গরমের সময় বাসায় থাকাই সবচেয়ে ভালো। বিশেষ করে দুপুরবেলায় রোদের তাপ বেশি থাকে বলে এ সময় বাইরে গেলে হিট স্ট্রোক হতে পারে। পরামর্শ থাকবে, অপ্রয়োজনীয় আউটিং বাতিল করুন বা পুনঃনির্ধারণ করুন। সম্ভব হলে দিনের শুরুতে ও বিকেল বেলায় দরকারি কাজ করার পরিকল্পনা করুন। এছাড়াও প্রয়োজনীয় খাবার, পানি ও ওষুধ মজুদ রাখুন, যাতে আপনাকে গরমে বারবার বাইরে যেতে না হয়।

বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে নিন। টিভি-রেডিওর মাধ্যমে, অনলাইনে বা বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে হিটওয়েভের পূর্বাভাস দেখুন এবং স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে চলুন। যদি আপনাকে বাইরে যেতেই হয়, তাহলে সাথে একটি পানির বোতল ও ছাতা নিন। বাইরে সবসময় ছায়ায় থাকার চেষ্টা করুন এবং ত্বকের সুরক্ষার জন্য সানগ্লাস, টুপি ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

হাইড্রেটেড থাকার বিকল্প নেই

গরমের দিনে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যাওয়া একটি পরিচিত সমস্যা। ডিহাইড্রেশনের লক্ষণগুলো হলো তৃষ্ণা অনুভব করা, হালকা মাথা ব্যথা হওয়া, শুষ্ক ত্বক, ক্লান্তি, গাঢ় রঙের তীব্র গন্ধযুক্ত প্রস্রাব হওয়া, স্বাভাবিকের চেয়ে কম প্রস্রাব হওয়া ইত্যাদি। এই সমস্যা এড়াতে প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কোনো অসুস্থতার জন্য যদি আপনার ডাক্তার তরল গ্রহণ সীমিত করে থাকেন, তাহলে তার পরামর্শ নিন যে এই গরম আবহাওয়ায় আপনার কতটুকু পানি পান করা উচিত। ও হ্যাঁ,গরমে সুস্থ থাকতে বাড়ি থেকে বের হবার সময় আপনার সাথে সবসময় একটি পানির বোতল রাখুন।

পরিশেষে বলা যায়, আমরা সবাই একটি ক্রান্তিকালীন সময়ে আছি। এই অসহনীয় তাপমাত্রা কবে কমবে তা এখনও জানা যায় নি। বরং বলা হয়েছে তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে। গরমে সুস্থ থাকতে আপনার একটু সচেতনতাই আপনার নিজের ও পরিবারের জন্য যথেষ্ট। তাই সময় থাকতে সচেতন হোন এবং সুস্থ থাকুন।

The post এই গরমে সুস্থ থাকতে যা করতে পারেন appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/uVlZKah
Continue reading

Tuesday, April 30, 2024

লিভারের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডায়েট কেমন হওয়া উচিত?

লিভারের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডায়েট কেমন হওয়া উচিত?

লিভার মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজন সুস্থ লিভার। আর লিভারকে বলা হয় শরীরের পাওয়ার হাউজ। লিভারের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস লিভারের যে রোগগুলো সাধারণত দেখা দেয়, তার মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো-

  • ভাইরাল হেপাটাইটিস (যা জন্ডিস নামে পরিচিত)
  • ফ্যাটি লিভার
  • লিভার সিরোসিস
  • হেপাটিক কোমা
  • লিভার ফেইলর

লিভারের এই সব সমস্যায় আমাদের করণীয় কী এবং এ সময় আমাদের ডায়েট কেমন হওয়া উচিত তা নিয়েই জানাবেন পুষ্টিবিদ সাদিয়া ইসরাত স্মৃতি।

লিভারের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খাদ্যতালিকা

জন্ডিস

জন্ডিস কোনো রোগ নয়, বরং এটি হলো রোগের লক্ষণ। জন্ডিস এর মূল কারণ হচ্ছে শরীরে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। জন্ডিস হলে সাধারণত শরীরের ত্বক, চোখে হলুদাভ রঙ দেখা যায়।

লক্ষণ

জন্ডিস এর অন্যতম প্রধান লক্ষণ হচ্ছে চোখ ও প্রসাবের রং হলুদ হয়ে যাওয়া। জন্ডিস এর মাত্রা বেড়ে গেলে পুরো শরীর গাঢ় হলুদবর্ণ হয়ে যায়। স্টুল সাদা হয়ে যাওয়া, ডিসেন্ট্রি, পেটে ব্যথা, শারীরিক দুর্বলতা, জ্বর, বমি, পেটব্যথা, ক্ষুধা কমে যাওয়া- জন্ডিসের লক্ষণ।

জন্ডিস রোগীর ডায়েট ও করণীয়

১) সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, জীবাণুমুক্ত খাবার ও পানীয় গ্রহণ করা উচিত।

২) রাস্তাঘাটে খোলা পানি, ফলের জুস, শরবত ইত্যাদি পানের ক্ষেত্রে সাবধান বা বিরত থাকতে হবে।

৩) জন্ডিস রোগীদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হচ্ছে তাদের ডায়েট হবে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয়। ফ্যাট কম খেতে হয় বলে কার্ব থেকে খাদ্যচাহিদা পূরণ করতে হয়।

৪) ঘরে বানানো শরবত, গ্লুকোজ বা আখের রস খেতে হবে এ সময়।

৫) ক্যান বা প্যাজেটজাত জুস অ্যাভয়েড করতে হবে, ফ্রেশ ফলের রস খেতে হবে।

৬) জন্ডিস রোগীকে আক্রান্ত হওয়ার ২-৩ দিন পর থেকে সেদ্ধ শাক-সবজি দেওয়া যেতে পারে।

৭) ফ্যাটজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে। যেকোনো মসলাযুক্ত, ঝাল ঝাল তেলে ভাজা, চর্বিযুক্ত মাংস, কলিজা, মগজ খাওয়া যাবে না।

৮) ডিমের কুসুম না খেয়ে সাদা অংশ খেতে হবে। ৩-৪ দিন পর যখন কিছুটা ভালোর দিকে যাবে তখন স্কিম মিল্ক খেতে পারবেন।

৯) ঘি, মাখন, চকলেট, কেক, ফাস্ট ফুড, চা, কফি এড়িয়ে চলতে হবে।

১০) নিয়মিত গ্লুকোজের পানি, চিনি পানি, ফলের রস খেতে হবে।

১১) জাউ ভাত, ভাত, সুজি দিতে হবে ১ম ১-২ দিন সাথে আলু সেদ্ধ। পরে হালকা মসলায় রান্না মুরগি, মাছ তেল/চর্বি ছাড়া মাংস, সহজপাচ্য খাবার দিতে হবে। সঠিক ডায়েট জন্ডিস এর প্রধান চিকিৎসা।

ফ্যাটি লিভার

সাধারণত আমাদের লিভারে ৫% পর্যন্ত চর্বি জমা থাকে, যদি চর্বির পরিমাণ ৫% এর বেশি জমা হয়, তখন ফ্যাটি লিভার হয়। লিভার সিরোসিসের একটি অন্যতম কারণ ফ্যাটি লিভার।

ফ্যাটি লিভার কেন হয়?

ফাস্ট ফুড, চর্বিযুক্ত খাবার বেশি করে খেলে ফ্যাটি লিভার দেখা যায়। এছাড়াও, ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের প্রবলেম, অ্যালকোহল সেবনের ফলেও ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে।

ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে করণীয়

১) শরীরের ওজন কমাতে হবে, শারীরিক ব্যয়াম করতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

২) কম ক্যালরির ও আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে, সবুজ শাক-সবজি, ফলমূল ইত্যাদি।

৩) চর্বিযুক্ত খাবার যেমন- ঘি, মাখন, পনির, রেড মিট, মাছের ডিম, বড় মাছের মাথা এড়িয়ে চলতে হবে।

৪) ফাস্ট ফুড, কার্বোনেটেড ফুড, সফট ড্রিংকস, চকোলেট খাওয়া যাবে না।

৫) শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম শরীরের ওজন ও লিভারের চর্বি কমায়। প্রতিদিন কিছু সময় হাঁটার চেষ্টা করুন, ঝুঁকে এক্সারসাইজ করা যাবে না। টায়ার্ড হলে রেস্ট নিতে হবে, শরীর বেশি খারাপ লাগলে শুয়ে পড়তে হবে।

লিভার সিরোসিস

এ অবস্থায় লিভারের স্বাভাবিক গঠন এবং একটা পর্যায়ে কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। লিভার সিরোসিস হলে পেটে পানি চলে আসে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা এবং চিকিৎসক এর পরামর্শ মতো চলা অতি আবশ্যক।

লিভার সিরোসিসে খাবার

১) লিভার সিরোসিসের রোগীদের বাইরের খাবার টোটালি অ্যাভয়েড করতে হবে।

২) ফুটানো নয় বা বিশুদ্ধ নয় এমন পানি খাওয়া যাবে না।

৩) রোগীদের তরলজাতীয় খাবার হিসেব করে খেতে হবে।

৪) তরকারিতে লবণ পরিমাণমতো দিতে হবে, এর বাইরে লবণ খাওয়া যাবে না। খাবারে বেকিং পাউডার দেওয়া যাবে না।

৫) বেকারী আইটেমস যেমন বিস্কুট, কেক, ড্রিংকস যেমন: কোক, পেপসি ইত্যাদি এড়িয়ে চলা উচিত।

৬) রোগীরা যদি বেশি বেশি তরল পান করেন বা সোডিয়ামযুক্ত খাবার খান, তাহলে তাদের পেটের পানি বেড়ে বড় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

৭) প্রাণীজ প্রোটিন যেমন মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে না। প্ল্যান্ট প্রোটিন যেমন ডাল সামান্য পরিমাণে খেতে পারবে।

লিভারের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডায়েট কেমন হওয়া উচিত, সেটা আমাদের জানা হয়ে গেলো। আশা করি, লিভারের এই অসুখগুলো নিয়ে সবাই সচেতন হবেন। যেকোনো সমস্যায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অথবা এক্সপার্টের পরামর্শ মতো চলবেন।

লিখেছেন,

সাদিয়া ইসরাত স্মৃতি, নিউট্রিশনিস্ট, ডক্টর সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হসপিটাল

ছবিঃ সাটারস্টক

The post লিভারের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডায়েট কেমন হওয়া উচিত? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/ou9nKVj
Continue reading

Sunday, April 28, 2024

সেলিব্রেটি মেকআপ লুকের জন্য ব্যাংক ব্যালেন্স শেষ?

মেকআপ করা হয় ফেইসের বেস্ট ফিচারগুলো ফুটিয়ে তুলতে। ন্যাচারাল বা গ্ল্যাম মেকআপ লুক সবাই করলেও সেলিব্রেটিদের মতো গ্লোয়িং লুক পেতে সবার একটা আলাদা ইন্টারেস্ট কাজ করে।  কিন্তু এমন লুক পেতে ব্যাংক ব্যালেন্স শেষ করে ফেলছেন? তাহলে আজকের সেলিব্রেটি মেকআপ লুকের ভিডিওটি আপনার জন্যই………

আরও প্রোডাক্ট কিনতে ক্লিক করুন- shop.shajgoj.com

The post সেলিব্রেটি মেকআপ লুকের জন্য ব্যাংক ব্যালেন্স শেষ? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/Fedg3OS
Continue reading