প্রাকৃতিক উপায়ে গর্ভপাতঃ গর্ভধারণ একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা সব মেয়ের কাছেই। কিন্তু তা তখনই সুন্দর যদি সেটি পরিকল্পিতভাবে হয়। বেশ কিছু খাবার রয়েছে যা নিয়মিত খেলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা অনেকখানি কমিয়ে দেওয়া যায়।
‘প্রেগনেন্সি বাই চয়েস, নট বাই চান্স’। ভারতে গর্ভপাত আইনসম্মত কিন্তু কিছু শর্তাবলী প্রযোজ্য। প্রথমত, আসন্ন সন্তান হতে চলেছে মেয়ে তা জানতে পেরে গর্ভপাত এবং গর্ভপাতের চেষ্টা দু’টিই ক্রিমিনাল অফেন্স। দ্বিতীয়ত, গর্ভপাত করাতে হয় ২০ সপ্তাহের মধ্যে। ২০ সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরে গর্ভপাত বেআইনি।
গর্ভপাত সব সময়েই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই করা উচিত। কিন্তু কয়েকটি খাবার এমন রয়েছে যা খেলে প্রথম ট্রাইমেস্টারে বা ৪ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় এই খাবারগুলি তাই কখনওই খাওয়া উচিত নয়—
প্রচুর পরিমাণে কাঁচা পেঁপে খেলে গর্ভপাত হতে পারে। কাঁচা পেঁপের মধ্যে রয়েছে প্যাপেইন যা সার্ভিক্সকে আলগা করে ও পিরিয়ডস হতে সাহায্য করে।
আনারস
পেঁপের মতোই আনারসে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি এবং এক বিশেষ ধরনের এনজাইম যা গর্ভপাত ঘটাতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় আনারস একেবারেই খাওয়া উচিত নয়।
যে ৭টি খাবার গর্ভপাত ঘটাতে পারে | Health Tips Bangla | Helath Tips For Women
তিল
ভাজা সাদা তিলের নাড়ু অনেকেরই পছন্দ কিন্তু এই খাবারটি গর্ভাবস্থার একদম প্রথমদিকে খেলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
টকজাতীয় ফল
অ্যাসকরবিক অ্যাসিড গর্ভপাত ঘটায়। তাই যে কোনও টকজাতীয় ফল প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে খেলে দু’তিন সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে।
পার্সলে পাতা
এই উপকরণটি ইউটেরাসের সঙ্কোচন ঘটায় এবং পাশাপাশি সার্ভিক্সকে আলগা করে। এই দু’টি প্রক্রিয়াই গর্ভপাতে হতে সাহায্য করে। পার্সলের সঙ্গে ভিটামিন সি খেলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
ওটমিল : ডেড স্কিন দূর করে ত্বকের সুস্বাস্থ্য গড়ে তুলতে এটি কার্যকরী। এক চামচ ওটমিল পাউডার জলের সঙ্গে মিশিয়ে সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করুন। চন্দনকাঠ : মুখের দাগ তুলতে অসাধারণ কাজ দেয় চন্দন। চন্দন কাঠের গুঁড়ো জলে বা গোলাপ জলে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। পারলে সপ্তাহে প্রত্যেকদিন এটি ব্যবহার করলে আশানুরূপ ফল দেখতে পাবেন।
ঘরেই তৈরি করুন হাত ও পায়ের স্ক্রাব | Health Tips Bangla | Jante Hobe
আমন্ড : কয়েকটি আমন্ড সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে তা বেঁটে একটা পেস্ট তৈরি করে নিন। তাতে একচামচ চন্দনকাঠের গুঁড়ো, মধু বা দুধ মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি কালো দাগের উপর লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
হলুদ : ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে হলুদ ফলদায়ক। এক চামচ হলুদ গুঁড়ো, সামান্য লেবুর রস ও দুধ মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে নিন। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দু-বার এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন।
পিঁয়াজ : পিঁয়াজের রসের সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে মুখের দাগের উপর লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
পেঁপে : পাকা পেঁপের লেই মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। সামান্য লেবুর রস মিশিয়েও তা ব্যবহার করতে পারেন।
আনারস : আনারসের রস মুখের সমস্ত অংশে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর মুখ জল দিয়ে ধুয়ে নিন। কয়েকদিনের ব্যবহারে কার্যকরী ফল দেখতে পাবেন।
যে ১৫টি কারণে ব্রণের সমস্যা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না ভিডিওটি সম্পূর্ন দেখুন।
তরমুজ : তরমুজের টুকরো নিয়ে মুখের দাগের উপর ঘষতে থাকুন বেশ কিছুক্ষণ। সপ্তাহে দু-বার এর ব্যবহারে আশানরূপ ফল দেখতে পাবেন।
শসা : শসা মুখের উজ্জ্বলতা ও আর্দ্রতা বজায় রাখতে কার্যকরী। কয়েকটি শসার টুকরো নিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে নিন, তাতে সামান্য মধু ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগান।
দুধ ও মধু : দুধ ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কালো দাগের উপর ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর মুখ জল দিয়ে ধুয়ে নিন। টানা কয়েকদিনের ব্যবহারে আপনার মুখের দাগ উধাও হয়ে যাবে।
অ্যালোভেরা : অ্যালোভেরা জেল বা রস, মুখের দাগের উপর আলতো হাতে মালিশ করে নিন। রেগুলার এর ব্যবহারে আপনার মুখের দাগ মুছে গিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।