Wednesday, February 21, 2018

গর্ভপাত ঘটানোর ঘরোয়া উপায় । গর্ভপাত ঘাটনোর সহজ উপায়

গর্ভপাত ঘাটনোর সহজ উপায় - গর্ভপাত ঘটানোর ঘরোয়া উপায়

গর্ভপাত ঘাটনোর সহজ উপায়

গর্ভপাত ঘটানোর ঘরোয়া উপায়ঃ গর্ভপাত হলো কোনো ফিটাস বা ভ্রূণ নিজে নিজে বেঁচে থাকতে সক্ষম হওয়ার আগেই এটিকে অপসারণ করে অথবা মাতৃগর্ভ থেকে জোরপূর্বক বের করে দিয়ে গর্ভধারণের অবসান ঘটানো৷ গর্ভপাত ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো হতে পারে, যেক্ষেত্রে এটিকে প্রায়াই মিসক্যারিজ বলা হয়। এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবেও ঘটানো হতে পারে যেক্ষেত্রে এটিকে বলা হয় প্ররোচিত গর্ভপাত। গর্ভপাত পরিভাষাটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনো মানবীয় গর্ভধারণের প্ররোচিত গর্ভপাতকে বুঝায়। ভ্রূণ নিজে নিজে বেঁচে থাকতে সক্ষম হওয়ার পর এই একই প্রক্রিয়া ঘটানো হলে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় সেটিকে বলা হয় "গর্ভাবস্থার বিলম্বিত অবসান"৷

গর্ভাবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ যেসব খাবার | গর্ভবতী মায়ের খাবার । নারীর স্বাস্থ্য | Jante Hobe

 


প্ররোচিত গর্ভপাতের জন্য আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যায় ঔষধ অথবা অস্ত্রোপচার পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। মিফেপ্রিস্টন ও প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নামের ঔষধ দু’টি প্রথম তিন মাসে অস্ত্রোপচার পদ্ধতির মতই কার্যকর।দ্বিতীয় তিন মাসে ঔষধের ব্যবহার কার্যকর হলেও অস্ত্রোপচার পদ্ধতির ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কম ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে হয়। জন্মনিয়ন্ত্রণ-এর মধ্যে রয়েছে পিল ও যোনিপথে ব্যবহার্য ডিভাইসসমূহ যা গর্ভপাতের ঠিক পরপরেই ব্যবহার শুরু করা যায়। গর্ভপাত উন্নত বিশ্বে স্থানীয় আইন দ্বারা সমর্থিত হয়ে থাকলে, এর চিকিৎসাবিজ্ঞানে সবচেয়ে নিরাপদ ব্যবস্থাগুলোর অন্যতম হয়ে ওঠার ইতিহাস রয়েছে৷জটিলতাহীন গর্ভপাত কোনো দীর্ঘস্থায়ী মানসিক বা শারীরিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা ঘটায় না।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশ করেছে যে, এই একই স্তরের নিরাপদ ও বৈধ গর্ভপাতের বিষয়টি বিশ্বজুড়ে সকল নারীর জন্য লভ্য থাকা উচিত। তবে,অনিরাপদ গর্ভপাতসমূহ বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর প্রায় 47,000 মাতৃত্বজনিত মৃত্যু  ও 5 মিলিয়ন নারীর হাসপাতালে ভর্তির হওয়ার কারণ ঘটায়।

যে ৭টি খাবার গর্ভপাত ঘটাতে পারে | Health Tips Bangla | Helath Tips For Women

 

বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর 44 মিলিয়ন গর্ভপাত সম্পন্ন হয়, যার মধ্যে অর্ধেকের সামান্য কমসংখ্যক অনিরাপদভাবে সম্পন্ন করা হয়। গর্ভপাতের হার 2003 ও 2008 সালের মধ্যে সামান্য পরিবর্তিত হয়েছে,যদিও পূর্ববর্তী দশকগুলোতে পরিবার পরিকল্পনা ও জন্মনিয়ন্ত্রণ বিষয়ক শিক্ষার প্রসারের কারণে গর্ভপাতের হার কমে এসেছিল৷ ২০০৮ মোতাবেক, বিশ্বের শতকরা চল্লিশ ভাগ নারীর "কোনো কারণ দেখানো ছাড়াই" বৈধ প্ররোচিত গর্ভপাত ঘটানোর অধিকার ছিল। তবে, এক্ষেত্রে গর্ভধারণের পর ঠিক কতটা সময় পর্যন্ত তা করা যাবে সে ব্যাপারে সীমা নির্ধারিত ছিল।


প্ররোচিত গর্ভপাতের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বিভিন্ন পদ্ধতিতে তা করা হয়েছে, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা ভেষজ ঔষধসমূহ, ধারালো সরঞ্জাম ব্যবহার, শারীরিক আঘাত ও অন্যান্য গতানুগতিক পদ্ধতি। বিশ্বজুড়ে গর্ভপাত বিষয়ক আইনকানুন, সেগুলো কত ঘনঘন সম্পন্ন করা হবে, এবং সেগুলোর সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় স্ট্যাটাসের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভিন্নতা রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ পরিস্থিতির নিরিখে গর্ভপাত বৈধ, যেমন: আত্মীয় কর্তৃক যৌননিগ্রহ, ধর্ষণ, ভ্রূণে সমস্যা থাকা, আর্থ-সামাজিক নিয়ামকসমূহ অথবা মায়ের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থাকলে। বিশ্বের অনেক স্থানে গর্ভপাতের নৈতিক, নীতিগত, ও আইনগত বিষয়সমূহ নিয়ে গণ মতদ্বৈততা রয়েছে৷ যারা গর্ভপাতের বিরুদ্ধে তারা সাধারণত বলে থাকেন যে, একটি ভ্রূণ বা ফিটাস হলো জীবনে বেঁচে থাকার অধিকারসম্পন্ন একজন মানুষ এবং গর্ভপাতকে হত্যাকাণ্ডের সাথে তুলনা করা যায়৷যারা গর্ভপাতের অধিকার সমর্থন করেন তারা একজন নারীর নিজের শরীরের ব্যাপারে তার সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারের উপর জোর দিয়ে থাকেন এবং একইসাথে সাধারণভাবে মানবাধিকারের উপর জোর দিয়ে থাকেন।

গর্ভাবস্থায় নারীরা কী খাবার খাবেন । গর্ভবতীর খাবার | Health Tips Bangla | Jante Hobe

 
Continue reading